বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে নাম না-করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফের একবার খোঁচা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই বিজয়া সম্মিলনী করছে তৃণমূল। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কেন্দ্র ভবানীপুরের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয় আলিপুরের উত্তীর্ণ সভাগৃহে। সেখানে নাম না করে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করার পাশাপাশি মমতা ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করেন।
সোমবার মমতা বলেন, ‘আমি নিজের নামে স্টেডিয়াম বানানই না। ট্রেন লাইন বানাই না। আমার পাবলিসিটি (প্রচার)-র প্রয়োজন নেই। মানুষের মতো বেঁচে থাকতে পারলেই হল।’ অনেকের মতে, প্রধানমন্ত্রীর ‘আত্মপ্রচার’কে আক্রমণ করতে চেয়েছেন মমতা। মমতা আরও বলেন, ‘১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে রেখেছে। যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের মজুরির সাত হাজার কোটি টাকাও আটকে রেখেছে। দিচ্ছে না।’
এদিন, ফের বাম আমলের রেশন দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকা বামেদের নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য এক কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল করেছে তার সরকার। মমতার অভিযোগ, ‘ওই কার্ডে রেশন উঠত। ভোট দেওয়া হতো। জঙ্গলমহলে আগে আদিবাসীরা পিঁপড়ে গাছের শেকড় খেত। আদিবাসীদের সাদা কার্ড করে দিয়েছি। ওটা ওদের আইডেন্টিটি কার্ড। কারণ, কোনদিন বলবে তোমরা অনুপ্রবেশকারী’, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, বাংলা সম্প্রীতির বার্তা দেয়। সবাইকে নিয়ে বাংলা চলে।
মমতা আরও বলেন, ‘বিশ্বের পুজোগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করব। রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভালের ভিড় ব্রাজিলকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। বাংলার গান খুব ভাল হচ্ছে। লোকও সঙ্গীতের একঘেয়ে গানই চলছে।’ গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে একদিন আমি অন্ধকারের যাত্রী গানটা শুনিয়েছিলাম। দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় আমাকে রেকর্ড করতে বলেছিলেন। লতা মঙ্গেশকর আমাকে মা কালীর ছবি দিয়েছিলেন।’
এদিন নিজের শৈশবের কথা স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তিন বছর গান শিখেছিলাম। হারমোনিয়াম বিক্রি করে দিল তাই বন্ধ হয়ে গেল।’ বাচ্চাদের কবিতা তিনি লিখেছেন, সেই কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এপার ওপাং ঝপাং হবে না তো কী হবে। যারা গালি দেয় আমি মারা গেলে তাদের মালা নিয়ে আসতে দেবেন না।’