কলকাতা: ২০০৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয়েছিল রিজওয়ানুর রহমানের মৃতেদহ। রাজ্য-রাজনীতিতে ঝড় তুলেছিল সেই ঘটনা।রিজওয়ানুরের বান্ধবীর বাবা, কাকা ও তাঁদের পরিবারের এক সদস্য, কলকাতা পুলিশের এক ডেপুটি কমিশনার-সহ তিন জন এবং রিজওয়ানুরের প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধেও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন। গত ১৫ বছর ধরে চলছে সেই মামলা।
মঙ্গলবার ইদের দিন সকালে প্রয়াত রিজওয়ানুর রহমানের বাড়িতে হাজির হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মাল্যদান করেন রিজওয়ানুরের স্মৃতিতে তৈরি বেদিতেও। তারপর বাড়িতে তাঁর মা, দাদা রুকবানুর-সহ পরিবারের লোকের সঙ্গে দেখা করেন। প্রায় তিন বছর পর রিজওয়ানুরের বাড়িতে গেলেন তিনি।
রিজওয়ানুরের মৃত্যুর পর তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনের যে তীব্রতা তৈরি করেছিলেন তাতে আন্দোলিত হয়েছিল নাগরিক সমাজও। অনেকের মতে, রিজের মৃত্যুর পর একদিকে যখন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সরকারের পুলিশের প্রতি সংখ্যালঘুদের অনাস্থা তৈরি হয়েছিল তেমনই মমতার প্রতি আস্থাশীলও হয়েছিলেন তাঁরা। যা বাংলার রাজনীতির সমীকরণ বদলে দিয়েছিল।
অন্য দিকে, ইদের দিন সকালে আমতায় নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়িতে যান সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সোমবার রাতেই সিপিএমের তরফে সেলিমের এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।
ঘটনা হল, রিজের মৃত্যু যেমন পুলিশের উপর মানুষের ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল, সেই মাত্রায় না হলেও আনিসের মৃত্যুতেও কাঠগড়ায় পুলিশই। তাই অনেকেই আনিস কাণ্ডের পর দুটো ঘটনাকে জুড়ে দেখতে চেয়েছিলেন। ইদের দিনও আমতা ও পার্কসার্কাসে দু’জনের বাড়িতে দুই দলের শীর্ষ নেতানেত্রীদের যাওয়াও তাই গুঞ্জন।