গঙ্গাসাগর মেলায় পুন্যার্থীদের জন্য বিশেষ পরিষেবার ঘোষণা মমতার

এবছরের গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হচ্ছে ১২ জানুয়ারি থেকে। বুধবার নবান্ন সভাঘরে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে সংশ্লিষ্ঠ বিভিন্ন দপ্তরের সচিব, আধিকারিক, নৌসেনা ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মুড়িগঙ্গায় যাত্রীবাহি ভেসেল পারাপারের সময় যদি ইন্টারনেট বা টেলিফোনের সিগন্যালের অসুবিধা হয় তবে ইসরোর সহযোগিতায় আলাদা ট্র্যাকিং সিস্টেম কে কাজে লাগানো হবে। আট নম্বর লট ও কচুবেড়িয়ার মধ্যে নদীতে ২০১৩ সালে একটি জাহাজ ডুবে যাওয়ার প্রেক্ষিতে নতুন চরা তৈরি হওয়ায় যাত্রী পারাপার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করে মেলার পরেই জাহাজটি তুলে ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আধিকারিক ও সেনা বাহিনীকে নির্দেশ দেন।

এদিন নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী ভিআইপিদের উদ্দেশে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘খুব প্রয়োজন ছাড়া পাইলট নিয়ে ভিআইপিদের প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। কারণ এত ভিড়ের মধ্যে যদি ভিআইপিরা যায়, তাহলে সমস্যা হয়ে যাবে। এত মানুষের মধ্যে পাইলট নিয়ে যাওয়ায় সমস্যা হয়।’ পাশাপাশি বাইরে থেকে আগত ভিআইপিদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, ‘বাইরের রাজ্যর ভিআইপিরা আসলে তাঁদেরও বলতে হবে যে, সাধারণ মানুষ হিসেবে যান তাতে সমস্যা নেই, কিন্তু পাইলট নিয়ে গেলে সেখানে সমস্যা হয়ে যাবে। আসতে যে কেউ পারেন।’

উল্লেখ্য, প্রতিবারের মতন মেলায় যাঁরা আসবেন, তাঁদের স্বাস্থ্য পরিষেবার বিষয়টিতেও বরাবরের মতো গুরুত্ব দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘গঙ্গাসাগরে আগত পুন্যার্থীদের জন্য থাকছে জলের ৬০ লাখ পাউচ। ৩০০ বেডের হাসপাতাল থাকছে। ১০০-এর বেশি অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হচ্ছে। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হচ্ছে। শোলার ঘরগুলোতে অনেক সময় আগুন লেগে যায়। তার জন্য রয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি।’

বর্তমানে গঙ্গাসাগর মেলার জন্য প্রস্তুতি এখন মধ্যগগণে। এবার শীত কম। তাই প্রশাসনের অনেকের ধারণা উত্তর ও পশ্চিম ভারত থেকে বিপুল সংখ্যক পুন্যার্থী এবারের সাগর স্নানের জন্য আসতে পারেন। তাই জোরকদমে চলছে গঙ্গাসাগরের প্রস্তুতি।

৯ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় মেলায় আসা সব তীর্থযাত্রীদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে দুর্ঘটনা বীমা থাকবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী আজ জানিয়েছেন। যাত্রী পরিষেবা দিতে এইবার মেলায় দুই হাজার ২৫০টি সরকারি বাস, ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ চালানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি যাত্রী ভিড় সামাল দিতে পূর্ব রেলকে আরও বেশি করে ট্রেন চালানোর আবেদন করা হয়েছে। নিরাপত্তায় মেলার যাত্রাপথে বিভিন্ন জায়গায় এক হাজার ৫০০টি সিসিটিভি-র নজরদারি থাকবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight + six =