অপহরণের তিনদিন পর দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিহার থেকে উদ্ধার করল চাঁচল মহকুমার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এই অপহরণের ঘটনায় চারজন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত চার দুষ্কৃতী এবং অপহৃত দশম শ্রেণির ছাত্রী বাড়ি মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়। গত মঙ্গলবার ওই ছাত্রীকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সাদলিচক এলাকা থেকে অপহরণ করে ওই চার দুষ্কৃতী। এরপর ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং বিভিন্ন সূত্র ধরে বিহারের কাঠিহার জেলা আমদাবাদ এলাকা থেকেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের একটি দল গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। শুক্রবার ধৃত চারজনকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করেছে তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুরের সদলিচক এলাকার, দশম শ্রেণির ওই নাবালিকা ছাত্রীকে গত মঙ্গলবার সদলিচক এলাকার রাস্তা থেকে অপহরণ করে চারজন দুষ্কৃতী। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিহারে। ওই নাবালিকা ছাত্রীকে বিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিহার রাজ্যে নিয়ে গেছিল এলাকারই চার দুষ্কৃতী । ধৃতেরা নারীপাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম, আকবর আলি (২৫), গুলজার শেখ (১৯), চিরণ পাশওয়ান(২১) এবং মনোজ দাস (১৯)। ওই নাবালিকা ছাত্রী অপহরণের ঘটনার পর পরিবারের লোকেরা মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এরপর বিভিন্ন সূত্র ধরেই শুরু হয় তদন্ত। এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধৃতদের গ্রেপ্তারের জন্য হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর গিয়াসউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী এবং সিভিক ভলান্টিয়াররা কাটিহার জেলার আমদাবাদ এলাকায় যায়। হাতে-নাতে অভিযুক্তদের পাকড়াও করে পুলিশ। দুই জন অভিযুক্ত বাঁচার জন্য পুকুরে ঝাঁপ দেয়। অভিযুক্তদের ধরতে সিভিক ভলেন্টিয়াররা জলে ঝাঁপ দিয়ে ধরে ফেলে। ওই নাবালিকা ছাত্রীকে সুস্থ ভাবে ফিরিয়ে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। এই চারজন যুবকের পেছনে আরও বড় কোন গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানিয়েছেন, নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে চারজন যুবক অপহরণ করে বিহারের কাটিহার জেলার আমদাবাদ এলাকায় নিয়ে গেছিল অভিযুক্ত ওই চারজন। খবর পেয়ে সেই এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে।