মালদা: মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় কংগ্রেস নেতার ছেলের হোটেলে মধুচক্রের আসর বসানোর অভিযোগে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, হোটেলে চলছিল দেহ ব্যবসা। মঙ্গলবার রাতে হোটেলের আড়ালে এই মধুচক্রের পর্দা ফাঁস হওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে, পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ঘটে এবং সাব-ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন নর্দমায় পড়ে আহত হন।
হোটেলের মালিক প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা মোহাম্মদ মুসলিমের ছেলে নুর আলম, যিনি আবার কংগ্রেস সিপিএম জোটের পরিচালিত হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তহমিনা খাতুনের আত্মীয়। স্থানীয় দোকানদারদের সন্দেহের পরিপ্রেক্ষিতে, মঙ্গলবার রাতে বাহির থেকে যুবক-যুবতীদের আসতে দেখে স্থানীয়রা চার যুবক এবং এক মহিলাকে আটক করে।
পুলিশ আসার পর হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সামনে গন্ডগোল বাধে, যেখানে পুলিশ কিছু স্থানীয় যুবককে আটক করে। আইসি মনোজিৎ সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই ঘটনায় চার যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং এক মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে কংগ্রেস এবং সিপিএম জোটের দখলে থাকা পঞ্চায়েত সমিতি প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিক কাজ চালাচ্ছে। অন্যদিকে, কংগ্রেসের দাবি, হোটেলটি সম্প্রতি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল এবং যারা ভাড়া নিয়েছিল তারা তৃণমূলের সমর্থক, যারা ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট হওয়ার অপেক্ষা করছে।