পাহাড়, ঝরনা, মেঘ-রোদ্দুরের খেলায় মায়াবি লুংসেল

চেনা ছকের বাইরে কোথাও পাড়ি দিতে চান? হারিয়ে যেতে চান মায়ামাখা পাহাড়ি পথে, মেঘ-কুয়াশার চাদরে? দেখতে চান শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার মন ভোলানো রূপ? এই সবের উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তবে আপনারই অপেক্ষায় রয়েছ লুংসেল।

 

পাহাড়ে ঘেরা গ্রামে ঝরঝরিয়ে ঝরে ঝরনা। কোথাও পথে পিচের প্রলেপ। কোথাও প্রকৃতি দেখায় পথ। মালবাজার থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে কালিম্পং জেলার গরুবাথানেই রয়েছে তার ঠিকানা। ছোট এই গ্রামের নাম লুংসেল। এপ্রিলে বেড়ানোর প্ল্যান থাকলে শান্ত-স্নিগ্ধ এই জায়গাটিকে বেছে নিতেই পারেন।

লুংসেল (Lungsel) থেকে কিছু দূরে পিচের রাস্তা শেষ হয়ে যায়। কোনও গাড়ি যাওয়ার পথ নেই। তবে সেখান থেকে হেঁটে বা ট্রেকিং করে অন্য পাহাড়ি গ্রাম কিংবা পাহাড়ের অন্য প্রান্তে অনায়াসে পাড়ি দেওয়া যেতে পারে। ডুয়ার্সের সমস্ত নদনদীর পাশাপাশি লুনসেল থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তও দেখা যায় মন ভরে। রাস্তার পাশে এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে পিকনিকের আয়োজনও করা যায়।

 

লুংসেল রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, দেখা মেলে হরেকরকম পাখিরও। ছোট্ট এই গ্রামটি ঘোরা হয়ে গেলে গাড়ি নিয়ে কাছের লাভা, লোলেগাঁও, ঝান্ডিতেও ঢুঁ মারতে পারেন। পাহাড় প্রেমীদের জন্য নিঃসন্দেহে আদর্শ গন্তব্য লুংসেল।

কীভাবে যাবেন?

নিউমাল জংশন স্টেশন থেকে গাড়ি করে পৌঁছতে হয় এখানে। মালবাজার-ওদলাবাড়ি-পাথরঝোড়া-মানজিং হয়ে যাওয়া যায় লুনসেলে। আবার গরুবাথান হয়েও পৌঁছনো যায় পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট গ্রামটিতে। সুন্দর গ্রামটিতে থাকার জন্য রয়েছে মনোরম হোম স্টে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 18 =