আইপিএলের মঞ্চে প্রথমবার খেলতে এসেই যেন সাড়া ফেলে দিয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে পঞ্জাব কিংসকে ২০ রানে হারাল তারা। সেই সঙ্গে টুর্নামেন্টের প্লে-অফের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল কে এল রাহুল অ্যান্ড কোম্পানি। ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এল তারা।
লখনউয়ের দেওয়া রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি পঞ্জাব কিংস। অধিনায়ক ময়নক আগারওয়াল (২৫) ফিরে গেলেন চামিরর বলে রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে। শিখর ধাওয়ান (৫) বোল্ড হয়ে গেলেন রবি বিষ্ণইয়ের বলে।রাজাপক্ষ (৯) ফিরে গেলেন ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে। লিভিংস্টোন (১৮) ফিরে গেলেন মহসিন খানের বলে। জিতেশ শর্মা (২) এলবিডব্লিউ হলেন ক্রুনালের বলে। জনি বেয়ারস্টো (৩২) ফিরে গেলেন চামিরার বলে। মহসিন খান নিলেন তিন উইকেট। ঋষি ধাওয়ান শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারলেন না।
আইপিএলে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে প্রত্যাশিতভাবে জ্বলে উঠতে পারল না লখনউ সুপার জায়ান্টস। মাঝের ওভারগুলিতে দ্রুত উইকেট হারানোতেই সমস্যা। পুনের এমসিএ স্টেডিয়ামে জেতার জন্য পাঞ্জাব কিংসের সামনে ১৫৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে লোকেশ রাহুলের দল। নির্ধারিত ২০ ওভারে লখনউ সুপার জায়ান্টসের স্কোর ৮ উইকেটে ১৫৩ রান। সর্বাধিক ৪৬ রান কুইন্টন ডি ককের। চার উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাডা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সতর্কভাবেই শুরু করেন কুইন্টন ডি কক ও লোকেশ রাহুল। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে দলের ১৩ রানের মাথায় কাগিসো রাবাডার বলে কট বিহাইন্ড হন লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। ১১ বল খেলে ১টি চারের সাহায্যে তিনি করেন ৬ রান। এরপর দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ডি কক ও তিনে নামা দীপক হুডা। পাওয়ারপ্লে-র ৬ ওভারে লখনউয়ের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৩৯।
৭.৪ ওভারে ৫০ রান পূর্ণ হয় লখনউয়ের। স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটে ৯ ওভারে স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৬০। দ্বিতীয় স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটে ১৪.৫ ওভারে তা গিয়ে দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১০৯। ১২.৪ ওভারে ৯৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়েছিল লখনউয়ের, ১৫.৩ ওভারে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে ১১১ রানের মাথায়। ১২.৪ ওভারে সন্দীপ শর্মা ভাঙেন হুডা ও ডি’ককের জুটি। ডি’কক কট বিহাইন্ড হন ৩৭ বলে ৪৬ রান করে। চার ওভারে ৩৮ রান দিয়ে রাবাডা চার উইকেট দখল করেছেন। ৮ ম্যাচে রাবাডার উইকেট সংখ্যা দাঁড়াল ১৩। চলতি আইপিএলে এটিই তাঁর সেরা বোলিং।