ঘরের মাঠে এ মরসুমের পঞ্চম হার। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে নামার আগে সরকারি ভাবে চেন্নাই সুপার কিংসের বিদায় বলা যাচ্ছিল না। এই ম্যাচটা বড় ব্যবধানে জিতলে কোনওরকমে অঙ্কে টিকে থাকত। চেন্নাইয়ের কাছে আর কোনও অঙ্ক বাকি নেই। প্লে-অফের দৌড় থেকে সরকারি ভাবেই বিদায়। বাকি চার ম্যাচ ধোনিদের কাছে স্রেফ নিয়মরক্ষার। বা বলা ভালো নতুন ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া, পরের মরসুমের জন্য় তৈরি করার ম্যাচ। এ দিন ঘরের মাঠে পঞ্জাবের কাছে ৪ উইকেটে হার ধোনিদের। তেমনই এই জয়ে প্লে-অফের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল পঞ্জাব কিংস।
চিপকে এ দিন টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন শ্রেয়স আইয়ার। প্রথমে ব্যাট করে ভালো খেলছিল চেন্নাই সুপার কিংস। এ মরসুমে সিএসকের হয়ে সর্বাধিক ব্যক্তিগত স্কোর এল এই ম্যাচেই। স্যাম কারান ৪৭ বলে ৮৮ রান করেন। তেমনই মিডল অর্ডারে ডিওয়াল্ড ব্রেভিস ২৬ বলে ৩২ রান করেন। কিন্তু ১৯তম ওভারে চাহালের বোলিং পরিস্থিতি বদলে দেয়। হ্যাটট্রিক সহ এই ওভারে চার উইকেট নেন চাহাল। পরের ওভারে ১৯০ রানেই অলআউট চেন্নাই সুপার কিংস। নয়তো বোর্ডে অন্তত ২০০ প্লাস টার্গেট দিতে পারত সিএসকে।
আইপিএলের এ মরসুমে চেন্নাইয়ের ফিল্ডিং নিয়েও প্রচুর সমস্যা ছিল। বোলিংয়েও সেরা বাজি পাথিরানা হতাশ করেছেন। বোর্ডে ১৯০ রানের বড় পুঁজি থাকলেও পঞ্জাব ব্যাটিং লাইন আপের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। প্রিয়াংশ আর্য মাত্র ২৩ রানে ফেরেন। তবে প্রভসিমরন সিং (৫৪) ও ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার ৪১ বলে ৭২ রানের বড় ইনিংস খেলেন। কয়েকটা উইকেট নিলেও ততক্ষণে ম্যাচ হাতছাড়া চেন্নাইয়ের। শেষ অবধি ২ বল বাকি থাকতেই জিতে নেয় পঞ্জাব কিংস। প্লে-অফের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন শ্রেয়স আইয়াররা।