প্রাথমিকে চাকরিহারাদের সংখ্যা ৩৬ হাজার নয়, ৩০,১৮৫ বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ আইনজীবীর

প্রাথমিকে চাকরিহারাদের সংখ্যা ৩৬ হাজার নয়, তা হবে ৩০,১৮৫ জন। কারণ, এই ৩০,১৮৫ জন অপ্রশিক্ষিত বলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩৬ হাজারের চাকরি বাতিলের রায়ের সংশোধনী চেয়ে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। এই প্রসঙ্গে তরুণজ্যোতি সোমবার জানান, ৩০,১৮৫ অপ্রশিক্ষিত রয়েছেন। মামলায় সেটাই উল্লেখিত ছিল। এছাড়াও প্যারা টিচারদের বিষয়েও উল্লেখ করেননি। মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সংশোধনের শুনানি করবেন। ফলে সংশোধন হলে চাকরিহারাদের সংখ্যা কমবে কয়েক হাজার। আইনজীবী আদালতে জানান, অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীর সংখ্যা ৩৬ হাজার নয়, সেটা হবে ৩০ হাজার ১৮৫ জন। সেখানে ‘টাইপোগ্রাফিক্যাল’ ভুল রয়েছে। তাই রায় সংশোধনের আর্জি জানান আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, প্রিয়াঙ্কা নস্কর নামে ১৪০ জন চাকরিপ্রার্থী ২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগে বেশ কিছু বেনিয়ম রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। ওই বছর প্রাথমিকের বিভিন্ন স্কুলে মোট ৪২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ৩৬ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ ওঠে, ইন্টারভিউয়ে অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়ার কথা থাকলেও বহু ক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি। আবার অনেকে অপ্রশিক্ষিত ছিলেন হলেও অভিযোগ ওঠে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়ে দেন, ওই ৩৬ হাজার শিক্ষক আগামী চার মাসের মধ্যে প্যারা টিচার হিসাবে কাজ করবেন। তার পরবর্তীতে চার মাসের মধ্যেই পর্ষদ নিয়োগ করবে।
এদিকে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ। সোমবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ। এদিকে, আবার চাকরি হারানোদের একাংশ মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাও গৃহীত হয়েছে। দুটি মামলার একসঙ্গে শুনানি হবে মঙ্গলবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − 6 =