পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমপন্ন শেষকৃত্য: পানীয়র গ্লাস হাতে তুলে ওয়ার্নকে শেষ বিদায় বন্ধু ও পরিবারজনেদের

ক্রিকেটের ইতিহাসে তাঁর কীর্তি অমর হয়ে থাকবে। তবে তাঁর নশ্বর দেহকে শেষ বিদায় জানাল পরিবার। শেষকৃত্য সম্পন্ন হল অজি কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নের। তবে শুধু চোখের জলে নয়, রঙিন এই তারকার উদ্দেশে পানীয়র গ্লাস হাতে তুলে উল্লাস জানিয়ে সেলিব্রেট করলেন তাঁর বন্ধুরা।

রবিবার প্রথমে মেলবোর্নের মুরাবিন ওভালে এসে পৌঁছয় কফিনবন্দি ওয়ার্নের দেহ। বাবার কফিন কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন ছেলে জ্যাকসন। মুরাবিন ওভালে এক পাক ঘোরে ওয়ার্নের কফিনবন্দি দেহ। এরপর একে একে ছেলে জ্যাকসন, সামার ওয়ার্ন বাবার কফিনে চুম্বন করে তাঁকে বিদায় জানান। উপস্থিত ছিলেন আরেক মেয়ে ব্রুকও। কিংবদন্তি স্পিনারের শেষযাত্রায় ছিলেন পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং বন্ধু-সহ মোট ৮০জন। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন টেস্ট অধিনায়ক মার্ক টেলর, অ্যালান বর্ডার, প্রাক্তন ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভনরাও স্টেডিয়ামে বন্ধু ওয়ার্নের রঙিন জীবনকে সেলিব্রেট করেন। পানীয়র গ্লাস হাতে তুলে চিয়ার্স করেন তাঁরা। ক্রিকেটবিশ্বকে তিনি যা দিয়ে গেলেন, তা এভাবেই হাসি মুখে মনে রাখবেন সকলে। এই উল্লাস যেন তারই প্রতীক হয়ে রইল। এদিন মেলবোর্নের সেন্ট কিলদা ফুটবল ক্লাবে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

গত ৪ মার্চ থাইল‌্যান্ডে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন কিংবদন্তি স্পিনার। মাত্র ৫২ বছর বয়সে ওয়ার্নের আচমকা মৃত‌্যুতে শোকের ছায়া নামে গোটা ক্রিকেট বিশ্বে। তাঁর ঘরে এবং বাথরুমে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছিল। ওয়ার্নের মৃত্যুর আসল কারণ খতিয়ে দেখতে ময়নাতদন্তও করা হয়। পরে অবশ্য থাই পুলিশ জানায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাভাবিক মৃত্যুই হয়েছিল তাঁর। জানা গিয়েছিল, বেশ কিছুদিন ধরে হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন ওয়ার্ন। সঙ্গে অ্যাস্থমার সমস্যাও ছিল।

গত ১০ মার্চ থাইল্যান্ড থেকে মেলবোর্নে আনা হয় শেন ওয়ার্নের মৃতদেহ। ৩০ মার্চ মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ওয়ার্নের শেষকৃত্য। তবে এদিনই তা সম্পন্ন হল। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরবিদায় নিলেন ওয়ার্ন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 3 =