কলকাতা: বাড়ির মেঝে থেকে দেওয়ালজুড়ে ফাটল। বউবাজারে আচমকা একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ায়, বাড়ির বাসিন্দাদের বের করে আনা হয়েছিল আগেই। এবার সেই বাড়িগুলি ভেঙে ফেলার চিন্তাভাবনা শুরু করল কলকাতা পুরসভা (KMC)। মেট্রোর কাজের জেরে বুধবার থেকে আচমকা দুর্গা পিতুরি লেনে একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি পরিদর্শনের পর পুরসভার বিল্ডিং দপ্তর মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে বৃহস্পিতবার। রিপোর্টে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪টি বাড়ি ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে তার আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে বাড়ি ও মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে পুরসভা। তারপরই বাড়িগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা পুরসভা। এই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরেও জমা পড়েছ বলে খবর।
বুধবার রাতে ফের বউবাজারে ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে দুর্গা পিতুরি লেনে একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ায় মেট্রোর কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। শুক্রবার কেএমআরসিএলকে (KMRCL) নিয়ে পুরভবনে বৈঠকে বসবেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
দু’বছর আগে মেট্রো বিপর্যয়ে দুর্গা পিতুরি লেনে প্রায় ৩০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবার ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৪টি বাড়ি। ২০১৯ সালে দুর্ঘটনায় এই বাড়িগুলিতেও ফাটল ধরেছিল। সেই সময় বাড়িগুলি মেরামত করে বাসিন্দাদের ফিরিয়ে আনে কেএমআরসিএল।স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে বলেন, মেট্রোর কাজে এখানে অধিকাংশ বাড়ির অবস্থা খারাপ। তার উপর বারবার একই ঘটনা ঘটছে। মেট্রো চালু হলে ফের বাড়িগুলির ক্ষতি হতে পারে। তাই একটা উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা দরকার। যদিও পুরসভা আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি রাখা কতটা নিরাপদ তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। মেয়র বলেন, “এখানে বাড়িগুলি পুরনো। ইটের ভিত দিয়ে তৈরি। পাইলিং নেই। মাটি সরে গেলে এই বাড়িগুলি বসে যায়। এইসব বাড়ি আদৌ রাখা সম্ভব কি না, তা ঠিক করতে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে।”