পারল না কেকেআর। দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে ম্যাচটা হেরে গিয়ে নিজেদের আরও বিপন্ন করল নাইটরা। আইপিএলের প্লে অফের ছাড়়পত্র জোগাড় করতে হলে বাকি পাঁচটা ম্যাচই এখন জিততে হবে কেকেআরকে। কিন্তু নেট রান রেটের অঙ্ক সেক্ষেত্রে কাজ করতে পারে। তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর দিকেও। বৃহস্পতিবার দিল্লি ক্যাপিটালস ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেওয়ায় প্লে অফের সমীকরণ নাইটদের কাছে আরও যে কঠিন হল তা বলাই বাহুল্য।
২০ ওভারে কেকেআর করে ৯ উইকেটে ১৪৬ রান। নীতীশ রানা, শ্রেয়স আইয়ার ও রিঙ্কু সিং প্রতিরোধ গড়ে না তুললে আরও কম রানে শেষ হয়ে যেত নাইটরাইডার্স। নাইটদের দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ (৩) ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার (৬) ব্যর্থ। বাবা ইন্দ্রজিৎ (৬) রান না পাওয়ায় প্রবল চাপে পড়ে যায় নাইটরা। সুনীল নারিন (০) এলেন আর গেলেন। শ্রেয়স আইয়ার কিছুটা হলেও লড়লেন। তিনি করেন ৪২ রান। আন্দ্রে রাসেলের ম্যাজিক চলল না এদিন। একের পর এক উইকেট হারিয়ে কেকেআর দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে নীতীশ রানা ও রিঙ্কু সিং লড়াই শুরু করেন। রানা শেষপর্যন্ত ৫৭ রান করেন। রিঙ্কু করেন ২৩। দিল্লির বোলারদের মধ্যে কুলদীপ ফের ভাঙেন কলকাতাকে। চার-চারটি উইকেট নেন তিনি। বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুর নেন তিনটি উইকেট।
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভার থেকেই উইকেট হারাতে শুরু করে কেকেআর। শ্রেয়স আইয়ার (৪২), নীতিশ রানা (৫৭) এবং রিঙ্কু সিং (২৩) যদি রুখে না দাঁড়াতেন তাহলে হয়তো ১২০ রানের গণ্ডিও পার করতে পারত না কলকাতা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৬ রান তোলে নাইটরা। এদিনও বল হাতে জ্বলে ওঠেন প্রাক্তন নাইট ক্রিকেটার কুলদীপ যাদব। ৩ ওভার বল করে মাত্র ১৪ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। সেই সঙ্গে জিতে নেন ম্যাচের সেরার পুরস্কারও।