ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে প্লে-অফের দৌড়ে ভালোভাবেই রইল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কেকেআর এ বার ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি। ঘরের মাঠে গত ম্যাচটি বৃষ্টিতে মাঝপথেই ভেস্তে যায়। পঞ্জাবের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগ করে নিতে হয়েছিল কেকেআরকে। দিল্লির মাঠে দিল্লিকে হারানোর চ্য়ালেঞ্জ ছিল। এ মরসুমে অন্যতম ধারাবাহিক দল দিল্লি ক্যাপিটালস। যদিও দিল্লির মাঠে তাদের পারফরম্যান্স সুখের ছিল না। তিন ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি জিতেছিল। তাও সেটি সুপার ওভারে। এ দিন কেকেআরও সেই পরিসংখ্যান মজবুত করল। ২০১৭-র পর দিল্লির মাঠে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারাল কেকেআর!
কখনও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। আবার কোনও ম্যাচ জয়ের সামনে থেকে হাতছাড়া। কেকেআরের পরিস্থিতি এ বার এমনই। প্লে-অফের দৌড়ে চাপ বাড়ছিল নাইট রাইডার্সের। এ দিনের জয় আবারও ট্র্যাকে ফেরাল। পয়েন্ট টেবলে কেকেআর সাতে থাকলেও এখান থেকে প্লে-অফ দারুণ ভাবে সম্ভব। তবে সব ম্যাচই নকআউটের মতো খেলতে হবে। দিল্লির বিরুদ্ধে তেমনই পারফরম্যান্স কলকাতার।
টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপ্টেন অক্ষর প্যাটেল। পরের দিকে শিশিরের প্রভাব থাকবে এমন প্রত্যাশাই করেছিলেন। যদিও তা দেখা যায়নি। তার উপর কেকেআর বোর্ডে ২০৪ রান তোলায় পরিসংখ্যান স্বস্তি দিচ্ছিল। আইপিএলের ইতিহাসে দিল্লি ক্যাপিটালস মাত্র দু-বার ২০০ প্লাস তাড়া করে জিতেছিল। এ দিনও জয়ের পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। কেকেআর ম্যাচে ফিরেছে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ফাফ ডুপ্লেসি ও অক্ষর প্যাটেল।
চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন অজিঙ্ক রাহানে। ভেঙ্কটেশ আইয়ারের পরিবর্তে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নামেন বৈভব। ফলে ক্যাপ্টেন-ভাইস ক্যাপ্টেন দু-জনেই মাঠের বাইরে। স্ট্যান্ড ইন ক্যাপ্টেন সুনীল নারিনের দুর্দান্ত পরিকল্পনা। ব্যাট হাতে রান করেছেন। ডিরেক্ট থ্রোয়ে রানআউট। নিজে চার ওভারে মাত্র ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। তেমনই ১৮তম ওভারে বরুণ চক্রবর্তীকে এনে ম্যাচের মোড় ঘোরানো সিদ্ধান্ত। সেই ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে দিল্লিকে কোণঠাসা করেন বরুণ। শেষ ওভারে আন্দ্রে রাসেলের বিরুদ্ধে ২৫ রান আর তুলতে পারেনি দিল্লি। ১৪ রানের স্বস্তির জয় কেকেআরের।