এক বছরের অপেক্ষার ইতি। চোটের জন্য গত মরসুমে খেলতে পারেননি শ্রেয়স আইয়ার। এ বারও চিকিৎসক তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন, ডিফেন্সের সময় পা বেশি না এগতে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ শুরু। প্রথম ম্যাচে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। গত বছর খেলতে না পারায় এ বার যেন খিদেটা আরও বেশি। শুধু শ্রেয়সের ফেরাই নয়, বরং আরও একটা বিষয় কেকেআরকে আত্মবিশ্বাসী করছে। গৌতম গম্ভীরের ফেরা।
ক্যাপ্টেন হিসেবে দু-বার কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন গৌতম গম্ভীর। এ বার মেন্টর হিসেবে ফিরেছেন। নতুন ভূমিকা, লক্ষ্য এক। ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ারও নতুন মরসুমের লক্ষ্য প্রসঙ্গে পরিষ্কার করে দিলেন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে নামার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘বোলিং অ্যাটাকের দিকে যখন তাকাই তখন দেখি আমার দলে অনেক অভিজ্ঞ বোলাররা আছে। প্রথম ম্যাচে নামার আগে অনেকে নার্ভাস থাকলেও আমরা তা একেবারে নই। কারণ আমাদের দলে যথেষ্ট ভারসাম্য আছে। অভিজ্ঞ আর তরুণ ক্রিকেটারদের মিশেল।’
কেকেআর শিবিরের হার্টথ্রব এখন রিঙ্কু সিং। তবে শুধু রিঙ্কুই নন, তরুণ ক্রিকেটারদের অনেকেই ভবিষ্যৎ তারকা হয়ে উঠতে পারেন। শ্রেয়স বলছেন, ‘শুরু থেকে শেষ সবাই আমার দলের শক্তি। সবার মধ্যে এক্স ফ্যাক্টর আছে। রিঙ্কু সিং তার জ্বলন্ত উদাহরণ। গত আইপিএলে কী ভাবে ওর উত্থান হয়েছে। এরপর জাতীয় দলে দরজা খুলে যায়। সামনের দিকে যদি তাকাতে হয়, তাহলে বলতে হয় আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই শুরু করব। প্রথম থেকেই সেটা মাথায় নিয়ে রাখছি। এখন দেখার বাকি ম্যাচগুলো আমরা কেমন পারফর্ম করি।’
গত মরসুমে টিম হিসেবে ভালো পারফর্ম করতে পারেনি কেকেআর। অনেক বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে। এ বার পরিস্থিতি আলাদা। কেকেআর অধিনায়কের কথায়, ‘গৌতম গম্ভীর আসায় আমাদের দলের মানসিকতা বদলে গিয়েছে। প্রত্যেক খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলে। তাদের মানসিক ভাবে উজ্জীবিত করে। ম্যাচের আগেও সবার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলছে। ছেলেরাও হাই স্পিরিটে আছে। দীর্ঘদিন বাদে কলকাতা নাইট রাইডার্সে ফিরেছে। আমি বহু বছর আইপিএল খেলছি। অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে খেলেছি। গৌতি ভাই তুলনাহীন। ভয়ডরহীন একজন মানুষ। সবার মধ্যে সেই ব্যাপারটাই ঢুকিয়ে দিচ্ছে।’