নিজস্ব প্রতিবেদন, কাঁকসা: কাঁকসার বিডিওকে দু’ কান কাটা বেহায়া বলে কটাক্ষ করলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, এর আগেও কাঁকসার বিডিওর কাছে তিনি নিজে উপস্থিত থেকে সাধারণ মানুষের অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিলেন। বাসস্থান কর্মসংস্থান সহ একগুচ্ছ দাবি জানানো হয়েছিল কাঁকসার বিডিওকে। কিন্তু কাঁকসার বিডিও দু’ কান কাটা বেহায়া। তাই এখনও কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি। নাকি ‘কানে দিয়েছি তুলা, আর পিঠে বেঁধেছি কুলা, তুলা যত পারবি কিলা’ আমি নরব না আমার জায়গা থেকে। যাঁর কানে তুলো গোঁজা রয়েছে এবং পিঠে কুলো বাঁধা রয়েছে তাঁর কান থেকে তুলো এবং পিঠ থেকে কুলো খুলে নেওয়ার জন্যই তাঁদের এই অবস্থান বিক্ষোভ।
এদিন মীনাক্ষী বলেন, ‘নারীশক্তির অগ্রগতির নামে নারীদের ধোকা দিচ্ছেন মমতা। চমকের রাজনীতি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সঙ্গে ছেলে খেলা করছেন তিনি। হাথরসের মতোই বাংলায় সন্দেশখালির ঘটনায় মানুষ ক্ষেপে গিয়েছে। তাঁরা ফুল ছেড়ে এখন লাঠি ধরেছেন। তাই মানুষ ক্ষেপে গেলে তৃণমূলের টিকি খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
তিনি অভিযোগ করেন, কোর্টের নির্দেশের পরেও ভাইপোকে বাঁচাতেই নাকি শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়নি পুলিশ। ১০০ দিনের কাজের টাকা কোন ফান্ড থেকে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। আর পূর্ণাঙ্গ হিসেব জনসমক্ষে আনতে হবে রাজ্য সরকারকে। কে কতদিন কাজ করেছেন, কত জব কার্ড ইস্যু হয়েছে, কার কত টাকা মজুরি বাকি কার অ্যাকাউন্টে কত টাকা দেওয়া হয়েছে। তার সমস্ত হিসাব মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। যতদিন না তাঁদের দাবি পূরণ হবে, ততদিন তাঁদের আন্দোলন জারি থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে কাঁকসায় মিছিল করে এসে কাঁকসার বিডিও অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। ১১ দফা দাবিকে সামনে রেখে কাঁকসার বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ, কিশোর কিশোরীদের ডিমভাত খাইয়ে হাতে ঝান্ডা ধরিয়ে দেওয়া হয় মিছিলে লোক জড়ো করতে।
বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ কাঁকসার মোল্লাপাড়া থেকে মিছিল করে এসে কাঁকসার বিডিও অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বাম কর্মী সমর্থকরা। বামপন্থী গণ সমূহের ডাকে এদিক কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে মিছিলের নেতৃত্ব দেন বাম খেত মজুর ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি তুষার ঘোষ, খেত মজুর ও আদিবাসী অধিকার মঞ্চের নেত্রী বন্যা টুডু, বাম যুব সংগঠনের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ জেলা ও ব্লক নেতৃত্বরা।