সোমনাথ মুখোপাধ্যায়
কথায় আছে ‘মেধা কখনো সুপ্ত থাকে না’। এ কথা ফলপ্রসূ হল জামুড়িয়ার বসবাসকারী কনিষ্ক রাজ সামন্তের সঙ্গে। জামুড়িয়া পারশিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলবাদের বাসিন্দা তিন বছর বয়সি কনিষ্ক রাজ সামন্তের বাবা ও মায়ের গর্বের দিন আজ। খুদে কনিষ্ক এই বয়সেই ‘ইন্ডিয়া বুকস অফ রেকর্ডস’-এ নিজের নাম নথিভুক্ত করেলেন। মাত্র দশ মিনিটে সে ৩ ট্র্যাফিক লাইট মানে ৫টি মহাসাগর, ৫টি ইন্দ্রিয়, ৭টি মহাদেশ, সপ্তাহে ৭ দিন, বছরের ১২ মাস, প্রতিটি দেশের রাজ্যের রাজধানী, ৫৮টি দেশের নাম, ৩৩টি বিপরীত শধ, ৭টি বন্য প্রাণী, ৭টি পোষা প্রাণী এছাড়াও ২৫টি প্রাণী, ৮টি গ্রহ, ৫৭টি সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্নের উত্তর, ১১টি সামাজিক বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ২৬টি সবজি, এসবের সঠিক উত্তর দিয়ে ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস’-এ নিজের নাম নথিভুক্ত করে ফেলেছে। কনিষ্কের পিতা পার্থ সামন্ত বলেন, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি তিনি জানতে পারেন তার ছেলের নাম ‘ইন্ডিয়া বুকস অফ রেকর্ডস’-এর জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি ছেলের পদক এবং সার্টিফিকেটের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তা আজ পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই সবাই খুব খুশি এবং গর্বিত। তার ছেলে এত অল্প বয়সে যা অর্জন করেছে তাতে তিনি খুব খুশি এবং গর্বিত। তিনি তার ছেলেকে সর্বোত্তম শিক্ষা দেবেন, যাতে সে শুধু বাবা-মা নয়, সারা দেশের জন্য খ্যাতি বয়ে আনবে। অন্যদিকে কনিষ্কের মা স্নিগ্ধা সামন্ত বলেন, তার বয়স যখন আড়াই বছর, তিনি তাকে খেলাধুলা শেখানো শুরু করেন। পরিবারের সদস্যরাও কনিষ্কর এই মেধা সকলের সামনে আনতে সহযোগিতা করেছেন। এরপরেই একদিন তিনি ‘ইন্ডিয়া বুকস অফ রেকর্ডসে’ অনলাইনে আবেদন করেন। সেখান থেকে উত্তর আসে শিশুটির অন্তত ১৭টি ভিডিও পাঠাতে হবে। যখন তিনি ১৮ নম্বর ভিডিওটি পাঠান, ‘ইন্ডিয়া বুকস অফ রেকর্ডস’ থেকে একটি বার্তা আসে যদি তার ছেলে নির্বাচিত হয়, ১৫ দিনের মধ্যে শংসাপত্র এবং পুরস্কার বাড়িতে পৌঁছে যাবে। ১৫ দিনের মধ্যে পুরস্কার এবং সার্টিফিকেট পেয়ে তিনি খুব খুশি এবং চান তার ছেলে আরও উন্নতি করুক।