উত্তর ২৪ পরগনা: গাড়ি দুর্ঘটনায় কবলে বারাসাতের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বুধবার বিকেলে তার মধ্যমগ্রাম দিঘবেরিয়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে মধ্যমগ্রাম জেলা পার্টি অফিসে একটি তৃণমূলে যোগদান কর্মসূচিতে আসার সময় এই দুর্ঘটনা কবলে পড়ে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাদু রোডে উঠতেই একটা প্রাইভেট গাড়ি সরাসরি কাকলির গাড়িতে ধাক্কা মারে। ঘটনায় গুরুতর আঘাত পান কাকলি। তার মাথায় গভীর চোট লাগে। এমনকী গাড়িতে থাকা তার দেহরক্ষীরাও আহত হয়েছেন। পরে তাকে বারাসাত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। সেখানে তার মাথার সিটি স্ক্যান করা হয়। চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, আপাতত সুস্থ আছেন তিনি। তবে তার পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা।
বারাসাত পুরসভার পুরপিতা ডাঃ বিবর্তন সাহাও ছুটে যান হাসপাতালে। হাসপাতালে সুপার ডাঃ সুব্রত মণ্ডলের তত্ত্বাবধানে ও বিবর্তন সাহার বিশেষ নজরদারিতে কাকলির সিটি স্ক্যান, ইসিজি সহ একাধিক শারীরিক পরীক্ষা হয়।
কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানান, বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় উঠতেই একটি গাড়ি এসে তার গাড়িকে সজোরে ধাক্কা মারে। গাড়ির চারটে দরজাই লক হয়ে যায়। তিনি ছিটকে পড়েন এবং মাথার বাম দিকে চোট পান। এই ঘটনার পেছনে কোনও চক্রান্ত আছে কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, হতেই পারে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, দলীয় কর্মসূচিতে আসার পথে এমনটা ঘটেছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে এর পেছনে কোন চক্রান্ত আছে কি না। আজ আরও অনেক প্রচার কর্মসূচি ছিল। এমন ঘটনা ঘটায় ওনার নির্বাচনী প্রচার কিছুটা ব্যাহত হল। বারাসাত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝারখারিয়া জানান, গাড়ি ও চালককে পুলিশ আটক করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ডাঃ বিবর্তন সাহা জানান, এমন একটা ঘটনার পর বেশ কিছু উপসর্গের কথা দিদি বলছিলেন তাই বেশকিছু পরীক্ষা করানো হল। সবটাই মোটামুটি স্বাভাবিক আছে। তবে একটা মানসিক উৎকন্ঠা আছে। তার জন্য রেস্টের প্রয়োজন। কিছু ওষুধ দেওয়া হয়েছে।
এই দুর্ঘটনার মধ্যেও এদিন মধ্যমগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে তৃণমূলে যোগদান অনুষ্ঠান চলে। সেখানে কাকলি ঘোষ দস্তিদার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ সহ অন্যান্যরা। এদিন বিজেপির চিকিৎসক নেতা ডাঃ সোনাতন ব্যানার্জি সহ বারাসাতের ৫০ জন বিজেপি কর্মী, ছোট জাগুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫০ জন আইএসএফ নেতা কর্মী ও কদম্বগাছির ৭০ জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগাযোগ করেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।