শনিবার সকালে হঠাৎ এসএসকেএম হাসপাতালে হাজির হতে দেখা গেল জ্যোতিপ্রিয় কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিককে। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রীর দাদা দেবপ্রিয় মল্লিকও। এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছেই সোজা কার্ডিওলজি ব্লকে প্রবেশ করেন তাঁরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার বেরিয়ে আসেন এবং চলে যান হাসপাতালের এমএসভিপির অফিসে। কেন তাঁরা এসেছিলেন হাসপাতালে, সেই বিষয়টি অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি রয়েছেন রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ইডির আর্জিতে নিম্ন আদালত বালুর কেবিনে সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দিলেও শুক্রবার নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কেবিনে সিসিটিভি নজরদারির নির্দেশ খারিজ করলেও কেবিনের বাইরে সিআরপিএফ জওয়ানদের মোতায়েন রাখার কথা বলেছিল হাইকোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, নজরদারি ও পাহারার দায়িত্বে থাকবেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। তাঁরা একটি রেজিস্টার খাতা মেইনন্টেন করবেন। অযাচিত কেউ যাতে কেবিনে ঢুকতে না পারে, তার দায়িত্ব থাকবে জওয়ানদের উপর। ইডির আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাঁদের নির্দেশ মতোই সিআরপিএফ জওয়ানরা সিদ্ধান্ত নেবেন কাউকে কেবিনে ঢুকতে দেওয়া হবে কি না।
সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশের পর বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয়র কেবিনের বাইরে সিআরপিএফ জওয়ানদের মোতায়েন থাকার কথা। ইডির থেকে সবুজ সঙ্কেত না পেলে, তাঁরা কাউকে কেবিনের ভিতরে ঢুকতে দেবেন না।
আদালতের এই নির্দেশের পরই এসএসকেএম-এ কী করতে এসেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় কন্যা তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। আলোচনা চলতে থাকে বাবা জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন কি না তা নিয়েও। তবে বাবার সঙ্গে দেখা হয়েছে কি না বা বাবার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি আছে কি না এই সব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। কারণ মুখে কুলুপ প্রিয়দর্শিনীর।