কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হলেন টিএস শিবজ্ঞানম। বর্তমান প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ ৩০ মার্চ, বৃহস্পতিবার। এরপরই ৩১ মার্চ অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই এই পদে বসবেন টিএস শিবজ্ঞানম।
প্রায় মাস দেড়েক আগেই দেশের শীর্ষ আদালতের কলেজিয়ম তাঁকে স্থায়ী প্রধান বিচারপতি পদের জন্য সুপারিশ করে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি-সহ তিন বিচারপতির কলেজিয়াম বিচারপতি শিবজ্ঞানমের নাম সুপারিশ করেছিলেন। এবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এরপরই বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের অবসর গ্রহণের পর দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের বর্তমান প্রধান বিচারপতির বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রসঙ্গত, বিচারপতি শিবজ্ঞানমের জন্ম তামিলনাড়ুতে। ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসাবে তাঁর নাম নথিভুক্ত হয়। দীর্ঘ ২৩ বছর আইনজীবী পেশায় থাকার পর ২০০৯ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে শপথ নেন বিচারপতি শিবজ্ঞানম। ২০১১ সালে স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে তিনি উত্তীর্ণ হন। সেখানে ১২ বছর বিচারপতি হিসাবে কাজ করার পর তাঁকে কলকাতা হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর হাইকোর্টের দ্বিতীয় প্রবীণ বিচারপতি অর্থাৎ প্রধান বিচারপতির পরের স্থান হিসাবে শপথ নেন বিচারপতি শিবজ্ঞানম। এক বছর তিন মাসের বেশি সময় এই হাইকোর্টে বিচারপতি থাকার পর তিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পেলেন।
এখানে বিচারপতি শিবজ্ঞানম সম্পর্কে কয়েকটি কথা বলতেই হয়। অনেক মামলায় কড়া পর্যবেক্ষণ রয়েছে বিচারপতি শিবজ্ঞানমের। শুধু তা ইনয়, হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার জারি করা আদালত অবমাননার রুলের বিচার করছে বিচারপতি শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বে বৃহত্তর বেঞ্চ। বুধবারও তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, আদালত কক্ষ অবরোধের ঘটনাটি তিনি ভাল নজরে দেখেননি। ওই মামলায় তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘আইনজীবীদের কাছে এ জিনিস আশা করা অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে বিচারের গরিমা এবং মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়। আমাদের কাজ হল একেবারে শেষ প্রান্তে যে মানুষটি বসে আছেন তাঁর কাছেও বিচারের আলো পৌঁছে দেওয়া।’ বিচারপতি হিসাবে ২০২৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অবধি মেয়াদ রয়েছে বিচারপতি শিবজ্ঞানমের।