ফাইনালে না ওঠার হতাশার মধ্যেও দলের খেলায় খুশি ফেরান্দো

পানাজি: এটিকে মোহনবাগানের আইএসএল যাত্রা শেষ। গতকাল আইএসএলের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে হায়দরাবাদ এফসির কাছে ১-০ গোলে জিতেও বাগান শিবিরের শেষরক্ষা হয়নি। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে হেরে রয় কৃষ্ণাদের ফাইনালে ওঠার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। ফাইনালে না উঠতে পারায় রীতিমতো হতাশ বাগান শিবিরের স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দো । তবে দলের ছেলেদের খেলায় খুশি ফেরান্দো। মাঝ মরসুমে দায়িত্ব নিয়ে সবুজ-মেরুন শিবিরকে তিলে তিলে ফর্মে ফিরিয়েছিলেন ফেরান্দো। দুর্দান্ত ফুটবল খেলেও শেষ পর্যন্ত ফাইনালে না ওঠার জন্য স্বাভাবিকভাবেই হতাশ হয়েছেন তিনি। ম্যাচের শেষে তাঁর হতাশার কথা ফুটে উঠেছে বাগান কোচের কথায়। তবে এখানেই থেমে থাকতে চান না ফেরান্দো। এখন থেকেই পরবর্তী চ্যালেঞ্জের জন্য দলকে প্রস্তুত করতে চান, জানিয়েছেন বাগান কোচ।

পুরো মরসুমের শেষে এটিকে মোহনবাগানের পারফরম্যান্সের ব্যাপারে ফেরান্দো বলেন, “সত্যি বলতে, আমি দলের পারফরম্যান্সে খুবই হতাশ এবং বিধ্বস্ত। আগে আমরা লিগের শীর্ষস্থানটা হারিয়েছিলাম, এ বার সেমিফাইনালেও হেরে গেলাম। ফলাফল নিয়ে আমি একেবারেই খুশি নই। তবে দলের জন্য আমি কিন্তু খুবই খুশি। কারণ, খুব কঠিন সময়ে আমাদের দলের ছেলেরা সত্যিই প্রচুর পরিশ্রম করেছে। কোয়ারান্টাইন, কোচ ও স্টাইল বদল, সব কিছুর সঙ্গেই ওরা কিন্তু মানিয়ে নিয়ে নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। ওদের জন্য আমি তাই খুবই খুশি। তবে ব্যক্তিগত ভাবে বলতে গেলে আমি খুব হতাশ। কারণ সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে পারলাম না। আমার কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”

বাগান শিবিরের কোচ হিসেবে নিজেকে কোন জায়গায় রাখছেন ফেরান্দো, এ ব্যাপারে তিনি বলেন, “খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফরা প্রত্যেকেই তাদের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছে। আমরা সবাই খুব মিলেমিশে প্রতিদিন কাজ করেছি। সকলেরই যথেষ্ট ইচিবাচক মানসিকতা ছিল। এই দলটার সঙ্গে কাজ করতে পারাটা আমার কাছে সত্যিই একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। আমি মাত্র তিন মাস কাজ করেছি ওদের সঙ্গে। তবে সব মিলিয়ে যদি বলি শেষবেলায় এসে আমার অনুভূতিটা মোটেই ভালো না।”

এএফসি কাপের প্রস্তুতিতে দেরি করতে চান না বাগান কোচ। তিনি বলেন, “আমাদের ভালো প্রাক-টুর্নামেন্ট প্রস্তুতি প্রয়োজন। এই ব্যাপারে ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমি কথা বলব। তার আগে অবশ্যই প্লেয়ারদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন। প্রত্যেককে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ করে দিতে হবে। পরিবারকে ছেড়ে সকলেই অনেক দিন রয়েছে। ৫-৬ দিন পর থেকে আবার দলের সঙ্গে কাজ শুরু করব। আমাদের সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ বার আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্টে নামতে হবে। সেখানে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। তাই অতীতে নয়, এখন নতুন চ্যালেঞ্জেই মনোনিবেশ করতে হবে আমাদের।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 10 =