সাংবাদিক সৌম্যা বিশ্বনাথন খুনে চার জনকে যাবজ্জীবন এবং এক জনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিল দিল্লির আদালত। দোষীদের মধ্যে রবি কপূর, অমিত শুক্লা, বলজিৎ মালিক এবং অজয় কুমারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অজয় শেট্টি নামে আর এক দোষীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালতের ব্যাখ্যা, এই মামলাটি বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়, তাই দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া সম্ভব হল না। গত ১৯ অক্টোবর রবি, অমিত, বলজিৎ, অজয় কুমার এবং অজয় শেট্টিকে দোষী সাব্যস্ত করে দিল্লির নিম্ন আদালত।
পাশাপাশি চার অভিযুক্তকে দুটি ভিন্ন খাতে ২৫ হাজার টাকা ও ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদিকে, পঞ্চম অপরাধী অজয় শেঠিকে ৭.৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। এই অর্থের ৭.২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে নিহত সৌম্যার পরিবারকে। অন্যদিকে বাকি চারজন দোষীকে অতিরিক্ত ১.২ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কাজ থেকে ফেরার পথে রাত ৩টের সময় দিল্লির বসন্ত কুঞ্জের কাছে খুন হয়েছিলেন বছর পঁচিশের টেলিভিশন সাংবাদিক সৌম্যা। একটি গাড়ির ভিতর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সৌম্যার মাথায় গুলির আঘাত ছিল। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী জিগীষা ঘোষের মৃত্যুর তদন্তে নেমে সৌম্যার খুনের বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু তথ্যপ্রমাণ খুঁজে পায় পুলিশ। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, তাঁরা সৌম্যার খুনের সঙ্গেও যুক্ত। ২০০৯ সালে পেশ করা ৬২০ পাতার চার্জশিটে দিল্লি পুলিশ জানায় যে, ডাকাতি এবং লুটপাটের জন্যই সৌম্যাকে খুন করা হয়। হাতের ট্যাটু এবং পুলিশের চুরি যাওয়া ওয়্যারলেস সেটই ধরিয়ে দিয়েছিল দিল্লির সাংবাদিক সৌম্যা এবং তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী জিগীষার খুনিদের। এমনটাই জানায় দিল্লি পুলিশ।