মেদ ঝরাতে দৌড়চ্ছেন? নিয়ম মেনে ডায়েটও করছেন? তাতে যদি মেদ ঝরতে দেরি হয় সকাল ও রাতে খান এই ম্যাজিক পানীয়।
ম্যাজিক জল মানে কোনও মন্ত্রপুত জল নয়। এর সব উপাদান আছে আপনার রান্নাঘরেই। বলে রাখি এতে শুধু মেদ ঝরবে না কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, সর্দি-কাশি-সহ হাজারও সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এটা পান করলে। বাড়বে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। এমন যার গুণ তাকে ম্যাজিক ড্রিংক (Magic drink) না বলে অন্য কিছু বলা যায় কি?
কীভাবে বানাবেন এই জল?
উপকরণ-পানীয় জল, জিরে, আদা, দারচিনি, পাতিলেবু ও মধু
কীভাবে বানাবেন-সারারাত ধরে এক চামচ জিরে এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে একটি পাত্রে সেই জল নিয়ে তাতে আদা থেঁতো করে, কয়েক টুকরো দারচিনি দিয়ে ফোটান। জল খুব ভাল করে ফুটে একটু কমে গেলে নামিয়ে নিন। গ্লাস বা কাপে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন। এতে মিশিয়ে দিন আধ খানা পাতিলেবুর রস ও এক চামচ মধু।
ভাবছেন তো একে ম্যাজিক জল বা পানীয় বলাটা বাড়াবাড়ি। তাহলে জানুন এদের গুণাগুণ।
পাতিলেবু-ভিটামিন সি-তে ভরপুর। গোটা করোনাকালে ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে লেবু খেতে বলেছিলেন ডাক্তার, পুষ্টিবিদরা। ভিটামিন সি সর্দি, কাশি, ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যা থেকে শরীরকে দূরে রাখে। সবচেয়ে বড় কথা চর্বি গলাতে সহায়ক।
জিরে- জিরে জলে ভিজিয়ে রাখলে জিরের সমস্ত পুষ্টি জলে মিশ্রিত হয়, যার জেরে জলের রঙ হালকা হলুদ হয়ে যায়। জিরে জল শুধু ওজন কমাতে সাহায্য করে না, পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। যাদের গ্যাস, অম্বলের ধাত আছে, তাদের জন্য জিরের জল খুব উপকারি।
দারচিনি-নিয়মিত দারচিনি খেলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এটি ব্যাড কোলেস্টেরল, ট্রাই গ্লিসারিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।উচ্চ রক্তচাপের রোগীরাও এই জল খেলে ফল পাবেন। আর ফ্যাট বার্নার হিসেবেও কাজ করে দারচিনি।
আদা-আদায় আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীর ভাল রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বদহজমের সমস্যাতেও আদা উপকারি।বমিভাব দূর করা থেকে এর গুণ অনেক।ওজন কমাতে পরোক্ষভাবে কাজ করে এটি।
মধু-মধু মিষ্টি বলে অনেকে ডায়েটে তা বাদ দেন। কিন্তু মধুর প্রচুর গুণ। দ্রুত ক্যালোরি উত্পাদন থেকে ঠান্ডা লাগা আটকানো, ত্বকে জেল্লা আনা, শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেওয়া-সহ একাধিক কাজ মধু করে। মধুতে ভিটামিন আছে বিভিন্ন রকমের।এতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে।
কখন খাবেন-ভাল ফল পেতে ভোরে ঘুম থেকে উঠে এই জল খেয়ে হাঁটতে বের হন বা এক্সারসাইস করুন। রাতের খাওয়া সাড়ে আটটার মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করুন। তার আধঘণ্টা পর এই জল খেতে পারেন। আরও ১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করে শুয়ে পড়ুন।