জামাইষষ্ঠী মানেই জামাইকে আদর করে ভূরিভোজ করানো। জামাই স্বাস্থ্য সচেতন হোক বা না হোক, এ দিন ডায়েট ভুলে তাঁর কব্জি ডুবিয়ে খাবার দিন। আর শাশুড়ি মায়েরাও অপেক্ষায় থাকেন মনের সুখে রকমারি রেঁধে জামাইকে খাওয়ানোর। বাঙালির জামাইষষ্ঠী মাটন ছাড়া ভাবাই যায় না।
কিন্তু রেসিপি! চির পরিচিত মাটন কষার বদলে এবার বরং জামাইয়ের পাতে দিন মাটন আকবরি।
লাগবে- মাটন, পেঁয়াজ, টমেটো, কাঁচা লঙ্ক, টক দই, রোস্টেড গরম মশলা, দেশি ঘি, কাজু বাদাম ও চালমগজ বাটা, আদা-রসুন বাটা, লেবুর রস ও কেওড়া জল।
কীভাবে করবেন- এই রান্নাটা সবচেয়ে ভাল হয় দেশি ঘিতে।প্রয়োজনে সাদা তেলে দেশি ঘি মেশাতে পারেন। ঘি গরম হলে তাতে দিয়ে দিন গোটা গরম মশলা। তারপর পেঁয়াজ বাটা ও পেঁয়াজ কুঁচি ও কয়েকটা চেরা কাঁচা লঙ্কা, স্বাদমতো নুন দিয়ে ভাজতে থাকুন। এবার দিন মাটনের টুকরো। মাটন ভাল করে ভেজে আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। তারপর দিয়ে দিন এক চামচ লেবুর রস। দিন আদা ও রসুন বাটা, অনেকটা টমেটা কুঁচি, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো। ভাল করে ফেটানো টক দই দিন তার মধ্যে। মাটন কষাতে থাকুন।মশলার সঙ্গে সঙ্গে যেন মাংস মিলেমিশে যেতে থাকে। তারপর দিন চালমগজ ও কাজুবাদাম বাটা দিয়ে খুব ভাল করে কষাতে হবে। অল্প গরম জল দিয়ে মাংস ঢাকা দিয়ে কষাতে থাকুন। ১০ মিনিট অন্তত মাংসটা ভালো করে নাড়িয়ে দিন যাতে নীচটা ধরে না যায়। এভাবে কষতে দেখবেন মাটন সেদ্ধ হয়ে এসেছে, মশলা থেকে তেলও ছাড়ছে। এই পর্যায়ে মাংস ভালভাবে সেদ্ধ হওয়া ও গ্রেভির জন্য পরিমাণমতো গরম জল দিন। মনে রাখবেন এটা মাখা মাখা হবে, অতিরিক্ত জল দিয়ে ফেলবেন না। তারপর কম আঁচে মাংস হতে দিন। এভাবে মাংসটা প্রায় হয়ে এলে রোস্টেড গরম মশলা দিয়ে আরও একবার কষিয়ে নিন। দিয়ে দিন ১ চামচ কেওড়ার জল।ঢাকা দিয়ে আবার মাটন কিছুক্ষণ হতে দিন। ওপর থেকে তেল ছাড়লেই বুঝবেন মাটন আকবরি রেডি।