মরুশহরে হওয়া আইপিএলের নিলাম টেবলে ‘গলতি সে মিসটেক’ হয়েছিল পঞ্জাবের মালকিন প্রীতি জিন্টার। জানিয়েছিলেন, ভুল শশাঙ্ক সিং ক্রিকেটারকে নিলামে কিনে ফেলেছে পঞ্জাব কিংস। পরবর্তীতে অবশ্য বিবৃতি দিয়ে সেই বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পঞ্জাব শিবির। এ তো গেল অতীতের কথা। হঠাৎ আজ কেন শশাঙ্ক সিংকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে? কারণ প্রীতির সেই ‘ভুল করে কেনা’ শশাঙ্কই আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিং ধামাকা দেখিয়েছেন। জিতিয়েছেন টিমকে। এবং ম্যাচের সেরাও হয়েছেন। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের হাউসফুল গ্যালারি সাক্ষী হল গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক শুভমন গিলের অনবদ্য ইনিংস এবং পঞ্জাব কিংসের শশাঙ্ক সিংয়ের ম্যাচ জেতানো ইনিংসের।
পঞ্জাবের বিরুদ্ধে গুজরাটের অধিনায়ক শুভমন গিল মরসুমের প্রথম অর্ধশতরান করেন। তাঁর ৮৯ নট আউট ইনিংসের সুবাদে পঞ্জাবকে ২০০ রানের টার্গেট দেয় গুজরাট। শিখর ধাওয়ান ও জনি বেয়ারস্টোর ওপেনিং জুটি জমেনি। ১ রানে ফেরেন শিখর। উমেশ যাদব বোল্ড আউট করেন গব্বরকে। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে বেয়ারস্টো ও প্রভসিমরন মিলে তোলেন ৩৫ রান।
ইনিংসের মাঝপথে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে পঞ্জাব। স্যাম কারান মাত্র ৫ রান করেন। পঞ্চম উইকেটে এরপর সিকান্দার রাজার সঙ্গে জুটি বাঁধেন শশাঙ্ক সিং। এই জুটিতে ওঠে ৪১ রান। রাজা (১৫) ফিরলে এরপর জীতেশ শর্মার সঙ্গে জুটিতে ৩৯ রান তোলেন শশাঙ্ক। এক আলাদা মেজাজে ব্যাটি করছিলেন শশাঙ্ক। সপ্তম উইকেটে আশুতোষ শর্মার সঙ্গে এক্কেবারে দাপুটে পার্টনারশিপ গড়েন শশাঙ্ক। ২৫ বলে আইপিএল কেরিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি করেন শশাঙ্ক।
পঞ্জাবের ইনিংসের শেষ ওভারে শুভমন বল তুলে দেন দর্শন নালকান্ডের হাতে। জয়ের জন্য পঞ্জাবের প্রয়োজন ছিল ৬ বলে ৭ রান। প্রথম বলেই তিনি ফেরান ছন্দে থাকা আশুতোষ শর্মাকে (৩১)। পরের বল ওয়াইড দেন। এরপর একটা ডট বল। তৃতীয় বলে সিঙ্গল নেন হরপ্রীত ব্রার। ওভারের চতুর্থ বল বাউন্ডারিতে পাঠান শশাঙ্ক। শেষ ওভারে বার বার দেখা যায় ডাগআউট থেকে কখনও শুভমন গিলকে বার্তা দিচ্ছেন আশিষ নেহরা। কখনও আবার জিটির অন্য ক্রিকেটারকে বার্তা দিয়ে পাঠাচ্ছেন। শেষ মেশ অবশ্য ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বাইয়ের জন্য ২০০ পূরণ করে ফেলে পঞ্জাব। ১ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতে হাসিমুখে মাঠ ছাড়েন শিখর ধাওয়ানরা।