হ্যামিল্টন: প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের পর, কিন্তু বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের কাছে ধাক্কা দিয়েছিলে। কিউয়িদের বিরুদ্ধে হারের পর ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে বার্তা এসেছিল ব্যাটিংয়ের খামতি ঢাকতে হবে। আরও দায়িত্ব নিতে হবে সিনিয়রদের। তৃতীয় ম্যাচে সেই বার্তাই যেন ম্যাজিকের মত কাজ করল। হ্যামিল্টনে ওয়েস্টে ইন্ডিজেকে ১৫৫ রানে হারাল ভারত। সৌজন্যে দুই সিনিয়রের সেঞ্চুরি। ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে টস করতে নেমেই একটা রেকর্ড করেছিলেন ভারতের ক্যাপ্টেন মিতালি রাজ। বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি ক্যাপ্টেন্সি করার রেকর্ড।
ম্যাচে একটি উইকেট নিলেই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়ার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন ঝুলন। সেই রেকর্ডটাও এবার বাংলার মেয়ের দখলে। দুই সিনিয়রের রেকর্ডের দিনে জ্বলে উঠলেন অন্য দুই সিনিয়র। স্মৃতি মন্ধানা ও হরমনপ্রীত কউরের সেঞ্চুরি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় জয় এনে দিল ভারতকে।
টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন মিতালি। স্মৃতি একটা দিক থেকে দলকে ভরসা দিচ্ছিলেন, কিন্তু উল্টোদিক থেকে পরপর উইকেট হারাল ভারত। স্কোর বোর্ডে ৭৮ রান উঠতে না উঠতেই প্যাভেলিয়ানে ইয়সতিকা, মিতালি ও দীপ্তি। সেখানের থেকেই হাল ধারলেন স্মৃতি ও হরমন। ১৮৪ রানের পার্টনারশিপ ভারতের জয়ের ভীতটা তৈরি করল। ১১৯ বলে ১২৩ রানের ইনিংস স্মৃতির। ১০৭ বলে ১০৯ নয় হরমনে। শেষ বিশ্বকাপেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন স্মৃতি। ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩১৭ রান স্কোর বোর্ডে তোলে ভারতের মেয়েরা।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা দুরন্ত করেছিল ক্যারিবিয়ানরা। ১০০ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ। ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনার ডটিন ও ম্যাথিউস। কিন্তু তারা প্যাভেলিয়ানে ফিরতেই খেই হারিয়ে ফেলল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রতিপক্ষকে একবার চেপে ধরে আর রাস আলগা হতে দেননি ভারতীয় বোলরারা। ব্যাট হাতে সফল না হলেও উইকেটার পেছনে দুরন্ত কিপিং করলেন বাংলার আরেক মেয়ে রিচা ঘোষ। এমন কিপিং যে কোনও দলের আত্মবিশ্বা, বারিয়ে দেবে। স্নেহ রানার দখলে তিনটি উইকেট। ২টি উইকেট মেঘনা সিংয়ের। একটি করে উইকেট পেলেন ঝুলন, রাজেস্বরী ও পূজা। টিম গেমে ভর করে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় জয় শুধু নয়। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে মিতালির দল। আগামী বুধবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবেন স্মৃতিরা।