দক্ষিণ আফ্রিকায় এক দিনের সিরিজ জয় ভারতের, শতরান করে নায়ক সঞ্জু

টি-২০ সিরিজ ড্রয়ের পর সঞ্জু স্যামসনের শতরানে একদিনের সিরিজ ভারতের। বিরাট কোহলিকে ছুঁয়ে ফেললেন কেএল রাহুল। বৃহস্পতিবার পার্লে তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭৮ রানে হারাল ভারত। পাঁচ বছর পর প্রোটিয়াদের দেশে একদিনের সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল ভারতীয় দল। ২০১৮ সালে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকায় একদিনের সিরিজ জেতে টিম ইন্ডিয়া। এবার জয় দিয়ে শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে হারতে হয়েছিল। এদিন পার্লে জয়ের ফলে সিরিজ ২-১ এ জিতলেন রাহুলরা। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান তোলে ভারত। জবাবে ৪৫.৫ ওভারে ২১৮ রানে শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। প্রথম দু”ম্যাচে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে না পারলেও সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে শতরান সঞ্জু স্যামসনের। তবে বিধ্বংসী মেজাজে পাওয়া যায়নি তাঁকে। শুরুতে দু”উইকেট হারানোয় একটু ধরে খেলেন সঞ্জু। ৩টি ছয়, ৬টি চারের সাহায্যে ১১৪ বলে ১০৮ রান করেন। একদিনের ক্রিকেটে সঞ্জুর প্রথম একশো। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন তিলক বর্মা (৫২)।

টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান আইডেন মার্করাম। ৪৯ রানে ২ উইকেট হারায় টিম ইন্ডিয়া। একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হয় রজত পাতিদারের। শুরুটা ভাল করলেও ১৬ বলে ২২ রান করে আউট হন। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে অর্ধশতরান করা সাই সুদর্শন এদিন ব্যর্থ। মাত্র ১০ রানে ফেরেন। রান পাননি রাহুলও। ২১ রান করেন। তৃতীয় ম্যাচ তরুণদের কাছে বড় পরীক্ষা ছিল। তাতে সফল তিলক বর্মা। ৭৭ বলে ৫২ রান করে আউট হন। চতুর্থ উইকেটে ১১৬ রান যোগ করে সঞ্জু-তিলক জুটি। আবার শুরুটা দারুণ করেন রিঙ্কু। মাত্র ২৭ বল ক্রিজে থাকলেও দুটো ছক্কা হাঁকান। চারের সংখ্যা তিন। কিন্তু অর্ধশতরানে পৌঁছতে পারেনি। ৩৮ রানে আউট হন। তবে রিঙ্কুর সংক্ষিপ্ত ইনিংসে শেষদিকে গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ হয়। তিন উইকেট নেন হেনরিকস।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু সেই একই রোগের শিকার। একটা সময় ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান ছিল প্রোটিয়াদের। সেখান থেকে ১৭৭ রানে ৬ উইকেট। ১৬ রানে ৩ উইকেট ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ছন্দে থাকা টনি জরঝির মূল্যবান উইকেট তুলে নিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান অর্শদীপ সিং। আগের দিনের শতরানের পর বৃহস্পতি রাতে আরও একটি একশোর দিকে এগোচ্ছিলেন তরুণ বাঁ হাতি ওপেনার। তিনি ক্রিজে থাকলে কী হত বলা মুশকিল। জরঝি ব্যাট করার সময় প্রোটিয়াদের লক্ষ্য ধরাছোঁয়ার মধ্যেই ছিল। পারফেক্ট সময় তাঁকে ফেরান অর্শদীপ। ৩টি ছয়, ৬টি চারের সাহায্যে ৮৭ বলে ৮১ রান করে আউট হন জরঝি। বাকি ব্যাটাররা রান পায়নি। কিছুটা চেষ্টা করেন মার্করাম (৩৬)। তবে সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। মিলার উইকেটে থাকা পর্যন্ত একটা ক্ষীণ সম্ভাবনা ছিল। বাঁ হাতি আউট হতেই যাবতীয় আশা শেষ। ৩০ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নেন অর্শদীপ সিং।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × two =