কলকাতা : “আমাদের দেশ ফাঁপা বুলি ও হাস্যকর আস্ফালনের বদলে ক্রমাগত গবেষণা ও প্রযুক্তির উন্নতির মাধ্যমে সামরিক শক্তিধর দেশ হিসেবে ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে।” শুক্রবার এক্সবার্তায় এ কথা লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বাংলাদেশীদের ব্যঙ্গ ও ভারতের সংশ্লিষ্ট ভিডিও যুক্ত করে তিনি লিখেছেন, “শক্তি বাড়িয়ে নিল ভারতীয় নৌবাহিনী। দেশের নৌশক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হল- আইএনএস সুরাট, আইএনএস নীলগিরি ও আইএনএস ভগশীর। সম্প্রতি মুম্বইয়ের ডকইয়ার্ডে অন্তর্ভুক্তি কাজের উদ্বোধন হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জির হাত ধরে। এই প্রথমবার একইসঙ্গে ডেস্ট্রয়ার (একটি ছোট, দ্রুতগতির যুদ্ধজাহাজ, বিশেষ করে সাবমেরিন এবং বিমানের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকার জন্য সজ্জিত), একটি ফ্রিগেট (মিশ্র অস্ত্রের যুদ্ধজাহাজ, সাধারণত একটি ধ্বংসকারীর চেয়ে হালকা) এবং একটি সাবমেরিনের অন্তর্ভুক্তি হল। এই তিন যুদ্ধজাহাজের অন্তর্ভুক্তি ভারতীয় নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার দিকে নিশ্চিত রুপে এক বড় পদক্ষেপ। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও স্বনির্ভর হয়ে উঠল ভারত।
অন্য দিকে বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে মহাকাশে ইতিহাস রচনা করলো ভারত। মহাকাশে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ডকিং হল ইসরোর দুটি স্যাটেলাইট। রাশিয়া, আমেরিকা, চিনের পর বিশ্বের চতুর্থ দেশে হিসাবে এই সাফল্য অর্জন করল ভারত। মহাকাশ স্টেশনের তৈরির পথে আর এক ধাপ এগিয়ে গেলো ভারত।
আমাদের দেশ ফাঁপা বুলি ও হাস্যকর আস্ফালনের বদলে ক্রমাগত গবেষণা ও প্রযুক্তির উন্নতির মাধ্যমে সামরিক শক্তিধর দেশ হিসেবে ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে। ভারত সামরিক ক্ষমতার সূচকে অন্যান্য অনেক দেশকে পিছনে ফেলে আজ প্রথম শ্রেণীর দেশের তালিকায় নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করে ফেলেছে। জল, স্থল, আকাশ, এমন কি স্পেস ডিফেন্স সেক্টর অর্থাত মহাকাশ ক্ষেত্রেও সামরিক প্রতিরক্ষামূলক অভিযানে ভারতীয় সামরিক ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
আসে পাশে কে কি বলে বাজার গরম করলো সেই বিষয়ে খোঁজ রাখার এক মাত্র কারণ হল একটু নির্ভেজাল হাস্যকৌতুকের মজা নেওয়া…”।

