মালে, ২১ এপ্রিল: মালদ্বীপে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হল নির্বিঘ্নে। মালদ্বীপের পার্লামেন্ট পিপলস মজলিশের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা ঠিক করতে রবিবার সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর জন্য এই নির্বাচন বড় পরীক্ষা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ মুইজ্জু ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে আরও বেশি চিনের দিকে ঝুঁকে পড়ার জন্য যথেষ্ট সমর্থন পার্লামেন্টে নিশ্চিত করতে পারবেন কি না, তা এই নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক হবে।
এবার মালদ্বীপের ৯৩ আসনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৪ হাজার ৬৬৩। এবার নির্বাচনে ৯৩ আসনে ৩৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা ধরে ভোট গ্রহণ চলে। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই গণনা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছর সেপ্টেম্বরে চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট আধুল্লাহ ইয়ামিনের প্রতিনিধি হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মুইজ্জু। দুর্নীতির অভিযোগে ইয়ামিনের ১১ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। তবে গত সপ্তাহে আদালত এই সাজা বাতিল করলে তাঁর মুক্তি হয়।
চলতি মাসে পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য পুরোদমে প্রচার চলাকালীন মালদ্বীপে চিনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির সঙ্গে বড়সড় চুক্তিতে আবদ্ধ হন মুইজ্জু। তাঁর প্রশাসন মালদ্বীপে থাকা ৮৯ জন ভারতীয় সেনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। মালদ্বীপের বিশাল সমুদ্রসীমায় টহল দিতে ভারতের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে দেওয়া উড়োজাহাজ পরিচালনা করেন এসব সেনা।
মালদ্বীপের বর্তমান পার্লামেন্টে মুইজ্জুর পূর্বসূরি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহর ভারতপন্থী দল এমডিপির (মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি) আধিপত্য আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুইজ্জুর এক সহকারী এএফপিকে বলেন, ‘রবিবারের নির্বাচনে দলগুলোর প্রচারের পেছনে ভূরাজনীতির একটি বড় ধরনের প্রভাব আছে।’ মুইজ্জুর ওই সহকারী আরও বলেন, ‘ভারতীয় সেনাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুইজ্জু ক্ষমতায় এসেছেন এবং তিনি এ নিয়ে কাজ করছেন। ক্ষমতায় আসার পর থেকে পার্লামেন্টের তরফে তাঁকে সহযোগিতা করা হচ্ছে না।’