নিজস্ব প্রতিবেদন, পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকে খণ্ডঘোষ গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিসির উদ্বোধন করা হয়। সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জন্যই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।
কৃষকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ধান কেনার পদ্ধতির আরও সরলীকরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলাজুড়ে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সিপিসি কেন্দ্রে এসে যাতে প্রকৃত চাষিরাই ধান বিক্রি করতে পারেন, তার জন্য বিডিও অফিসের অর্ডার অফিসারের তত্ত্বাবধানে চলবে এই ধান কেনাবেচার প্রক্রিয়া। ১ জন কৃষক মরসুমে সর্বোচ্চ ৯০ কুইন্ট্যাল ধান সিপিসি সেন্টারে বিক্রি করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
খাদ্য দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এত দিন কুইন্ট্যাল পিছু ২০৪০ টাকা দেওয়া হত। এ বার সেই সমপরিমাণ ধানের সহায়ক মূল্য কুইন্ট্যাল পিছু ২১৮৩ টাকা করা হয়েছে। তার সঙ্গেই আরও ২০ টাকা করে বোনাস হিসাবে দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে এ বার কুইন্ট্যাল পিছু ধানের দাম হবে ২২০৩ টাকা করে। এই নির্ধারিত মূল্যে প্রত্যেকটি সিপিসি সেন্টার থেকে ধান ক্রয় করা হবে চাষিদের কাছ থেকে। লোদনা, খণ্ডঘোষ, শাখারি ১ ও ২ এলাকার চাষিদের সুবিধা হবে ধান বিক্রয় করতে। সোমবার থেকেই ধান কেনা চালু হবে বলে জানিয়েছেন খণ্ডঘোষের বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ।
এদিন উপস্থিত ছিলেন খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত প্রধান মালতি সাঁতরা, উপপ্রধান শেখ হাসানুজ্জামান, সিপিসি তত্ত্বাবধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সাইফুদ্দিন চৌধুরী এবং শেখ মইনুদ্দিন, সকল পঞ্চায়েত সদস্য সহ অফিসের সকল কর্মীরা। চলতি মরশুমে রাজ্যের ধান কেনা শুরু হতেই হাসি ফুটেছে গ্রাম বাংলার কৃষকদের মুখে।