নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: দফায় দফায় বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টির জেরে গতকাল রাতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল কাঁচা বাড়ি। অল্পের জন্য দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে প্রাণে বাঁচলেন গৃহস্থ। একমাত্র ঘর হারিয়ে গাছের তলায় আশ্রয় নিয়েছে গোটা পরিবার। বুধবার সকালে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এলেও এখনও ত্রাণ পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। স্বাভাবিক ভাবে আরও বৃষ্টি হলে কোথায় মাথা গুঁজবেন শ্যামলালের পরিবার, তা নিয়ে চিন্তায় পরিবারের সদস্যরা।
বাঁকুড়া শহর লাগোয়া জুনবেদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নবজীবনপুর গ্রামের একপ্রান্তে বসবাস পেশায় দিনমজুর শ্যামলাল কুম্ভকারের। নিজের এক কক্ষের কাঁচা মাটির দেওয়ালের ওপর টালির চালার ঘরেই দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করতেন তিনি। বর্ষার শুরুতেই দেওয়ালে ফাটল ধরে। মাঝেমধ্যেই বাড়ির দেওয়াল থেকে ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ছিল মাটি। গতকাল রাত এগারোটা নাগাদ যখন পরিবারের সকলেই ঘুমে আচ্ছন্ন, সেই সময় আচমকাই দেওয়াল থেকে ঝুরঝুর করে মাটি পড়তে দেখে শ্যামলালের মেয়ে বুঝতে পারে দেওয়াল ধসে পড়তে পারে। পরিবারের অন্যান্যদের বাড়ির বাইরে ডেকে আনে সে। প্রতিবেশীদের ডেকে বাড়ির মধ্যে থেকে কিছু জিনিস বের করার চেষ্টাও শুরু হয়। এরই মাঝে বাড়ির দু’টি দেওয়াল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়ে বাড়ির টালির চালাও। একমাত্র ঘর হারিয়ে গাছের তলায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় পরিবার।