মালদা শহরের রবীন্দ্র ভবন সংলগ্ন এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একচ্ছত্র সরকারি জমি দখল করে বেআইনি মদ, মাদক কারবারি সিন্ডিকেটের রমরমা কারবার চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রীতিমতো পূর্ত দপ্তর এবং রেলের জমিতে পাকা বিল্ডিং নির্মাণ করেই চলছে এই কারবার। বিহার এবং ঝাড়খণ্ড থেকেও দুষ্কৃতীরা সেই সব ধাবাতে গিয়ে আড্ডা জমাচ্ছে বলে অভিযোগ। আর সেখানেই মালদায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক ঘটনার ছক কষছে দুষ্কৃতীরা বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। মাঝেমধ্যে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করছে ইংলিশবাজার থানার পুলিশ। কিন্তু তারপরেও দিনের পর দিন মালদা শহরের রবীন্দ্র ভবন সংলগ্ন এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের রেললাইন সংলগ্ন ধাবাগুলিতে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি মদ ও মাদকের কারবার। যদিও ওই এলাকার বেআইনি ধাবা ব্যবসায়ীদের কয়েকজনের সাফ কথা, একাংশকে ঘুষ দিয়ে আমরা এই ব্যবসা করছি। হিম্মত থাকলে এই ব্যবসা বন্ধ করে দেখান।
বেআইনি মদের কারবারের বিষয়টি শুনে রীতিমতো অবাক হতবাক হয়ে গিয়েছে মালদা জেলা আবগারি দপ্তর। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জেলার সুপারিনটেন্ড সিদ্ধার্থ সেন জানিয়েছেন, এব্যাপারে কিছু জানা ছিল না। তবে কোনওরকম ভাবেই বেআইনি মদের কারবার চলতে দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে আবগারি দপ্তর থেকে এব্যাপারে অভিযান চালানো হবে।
উল্লেখ্য, মালদা শহরের রবীন্দ্র ভবন সংলগ্ন একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উল্টোদিকেই পূর্ত দপ্তর এবং রেলের জমি দখল করে চলছে বেআইনি মদ এবং মাদক কারবারিদের কারবার। রীতিমতো সরকারি জায়গায় পাকা ভবন নির্মাণ করে চালাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। একটানা ১০ থেকে ১২ টি বেআইনি ধাবা গড়ে উঠেছে ওই এলাকায় বলে অভিযোগ। সন্ধ্যা নামতেই এলাকার পরিবেশ খারাপ হচ্ছে বলেও সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ। ওইসব বেআইনি ধাবাই নানান ধরনের অপরাধমূলক কাজ কর্মের পরিকল্পনা সংগঠিত হচ্ছে বলে অভিযোগ। ইংরেজবাজার থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসব এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করার পর এরকম তথ্য জানতে পেরেছে। কিন্তু এত কিছু হওয়ার পরেও পূর্ত দপ্তর অথবা রেল প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কোনো রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
বলাবাহুল্য, রবীন্দ্রভবন সংলগ্ন এলাকায় যেসব বেআইনি একাধিক ধাবা গজিয়ে উঠেছে সেটি ইংরেজবাজার পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। সেই এলাকার একাংশ বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনা ওই এলাকায় ঘটছে। বাইরে থেকে নানান ধরনের অচেনা মানুষ এখানে এসে অপরাধ সংঘটিত করছে। এব্যাপারে অবিলম্বে পুলিশ ও প্রশাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, বিষয়টি জানা ছিল না। তবে এরকম যদি কোনও ঘটনা ঘটে থাকে অবিলম্বে অভিযান চালিয়ে সেইসব বেআইনি ধাবাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।