নিজস্ব প্রতিবেদন, মালদা: উত্তরবঙ্গের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর ওপর হামলার ঘটনায় মালদায় আইন অমান্য আন্দোলন করল বিজেপি। উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু এই হামলার ঘটনার পর এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন শিলিগুড়িতে। এরই প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার দুপুরে বিজেপির সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে ইংরেজবাজার শহরে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে আইন অমান্য আন্দোলন করা হয়। সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ছাড়া উপস্থিত ছিলেন দলের দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক সভাপতি অজয় গাঙ্গুলি, উত্তর মালদার সাংগঠনিক সভাপতি প্রতাপ সিংহ-সহ বিভিন্ন এলাকার বিধায়কেরা।
এদিন এই আইন অমান্য আন্দোলন করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘এসআইআর চালু হলে রাজ্যের তৃণমূল বিধায়কেরা বলছেন, বিজেপি বিধায়কদের ঘেরাও করা হবে, ঘর বন্দি করা হবে। দম থাকলে ও বাপের ব্যাটা থাকলে পুলিশকে সরিয়ে রাখুন। পুলিশকে সরিয়ে আসুক, আমরা বুঝিয়ে দেব কত ধানে কত চাল।’ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলায় একটা কথা আছে। ঠেলার নাম বাবাজি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ অক্টোবর নাচছিলেন। উনিও বুঝতে পেরেছেন উত্তরবঙ্গের মানুষ ক্ষমা করবেন না। দু’বার নয়, আরো চারবার আসবে অপেক্ষা করুন।’ মেয়েদেরকে রাতে বেরোতে বারণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং সৌগত রায়। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এবং সৌগত রায়ের কথা শুনে মনে হচ্ছে এরা ২০২৪-২৫ সালের লোক নয়। এরা বামফ্রন্ট আমলের লোক।’ একইসঙ্গে সবিনা ইয়াসমিনের মন্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘সাবিনা ইয়াসমিন মোথাবাড়ির সেই দাঙ্গার কথা আবার মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন। আমি মালদার মানুষের হাতে এই বিচার ছেড়ে দিচ্ছি। মোথাবাড়িতে হিন্দুদের মেরে যদি সাবিনা ইয়াসমিন ইংরেজবাজারে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিকভাবে হেঁটে চলাফেরা করতে পারেন, তাহলে হিন্দুদের একদিন মালদাও ছাড়তে হবে।’এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ সাংসদ-সহ বিজেপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখান। তার আগে ইংরেজবাজার শহর জুড়ে একটি বিশাল মিছিল করেন। বিজেপির এই আইন অমান্য আন্দোলনকে ঘিরে এদিন আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল মালদা জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে। বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়, প্রশাসনিক ভবনের মূল রাস্তা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে বিক্ষোভ।

