তাঁর গড়া মূর্তিতেই প্রাণ পেল ছোট্ট রামলালা। কর্নাটকের শিল্পী অরুণ যোগীরাজের নির্মিত রামলালার মূর্তিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরে। সোমবার রাম মন্দিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে সেই বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর নিজেকে পৃথিবীর সৌভাগ্যবান বলে মনে করছেন অরুণ যোগীরাজ।
সেই প্রখ্যাত ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ এ দিন অযোধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। তাঁর গলায় ছিল শ্রীরাম লেখা গেরুয়া রঙা উত্তরীয়। নিজের উপলব্ধি প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, ‘আমার এখন মনে হচ্ছে, আমি পৃথিবীর সব থেকে ভাগ্যবান মানুষ।’ একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘আমার পূর্বপুরুষ, পরিবারের সদস্য এবং প্রভু রামের আশীর্বাদ সব সময় আমার সঙ্গে রয়েছে। মাঝেমধ্যে আমার মনে হয় আমি এক স্বপ্নের জগতে রয়েছি।’
অযোধ্যার গর্ভগৃহে রামলালার কোন মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে, তা নিয়ে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের শীর্ষ পদাধিকারীদের মধ্যে একটি ভোটাভুটি হয়। তিনটি মূর্তির মধ্যে কৃষ্ণশিলায় তৈরি যোগীরাজের মূর্তিটিকে বেছে নেওয়া হয়। ৫১ ইঞ্চি উচ্চতার এই মূর্তিটি শিশু রামের আদলে বানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাঁচ বছরের রামলালা একটি প্রস্ফুটিত পদ্মের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
কর্নাটকের মহীশূরের বাসিন্দা অরুণ যোগীরাজ বর্তমানে দেশের প্রখ্যাত ভাস্কর। খুব ছোট বয়স থেকেই তিনি মূর্তি নির্মাণ করেন। তিনি বরাবরই কাজের ব্যাপারে একনিষ্ঠ। এর আগে কেদারনাথের আদি শঙ্করাচার্য এবং দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে ৩০ ফুটের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তিটিও তিনি তৈরি করেছিলেন। এবার তাঁর আরেক স্থাপত্য বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত হল।