প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের কাছে পরাজয়ের পর প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। জোরাল হচ্ছিল চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্কা রাহানের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের স্কোয়াডে ফেরানোর দাবি। তার উপর বিরাট কোহলির পুরো সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ানো, চোটের কারণে লোকেশ রাহুলের অনুপস্থিতি মাত্রা জোগাচ্ছিল তাতে। কিন্তু তারুণ্যের উপরই ভরসা রাখেন কোচ রাহুল দ্রাবিড় ও ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। যার সুফল মিলেছে হাতেনাতে। বিশাখাপত্তনমে দুরন্ত জয়। রাজকোটে ইংল্যান্ডের বাজবলকে ভোঁতা করে রেকর্ড ব্যবধানে জেতার নজির গড়েছে টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচ শেষে যশস্বী, সরফরাজদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অধিনায়ক রোহিত শর্মা, ‘একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারদের সাফল্যে ভর করে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে আনতে পেরে ভালো লাগছে। অভিষেকে সরফরাজ খান ও ধ্রুব জুরেলের পারফরম্যান্স চমকে দেওয়ার মতোই। ওদের সাফল্য মিডল অর্ডারের সমস্যা অনেকটাই মিটিয়েছে। সিরিজের শুরুতে একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটারের ছিটকে যাওয়া দলের কাছে ছিল বড় ধাক্কা। সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা সহজ ছিল না। কিন্তু যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমান গিলদের ব্যাটিং তা বুঝতে দেয়নি।’
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এত সহজে জয় আসবে, তা ভাবেননি রোহিত। তাঁর কথায়, ‘ধারণা ছিল, ম্যাচটা পঞ্চম দিনে গড়াবে। মনে হয়েছিল, আমাদের জিততে ১২০-১৩০ ওভার লাগবে। কিন্তু জাদেজা, কুলদীপদের বোলিংয়ে এতটাই ঝাঁঝ ছিল যে, প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানরা মাথা তুলতে পারেনি।’
মায়ের অসুস্থতার কারণে হঠাৎই চেন্নাই ফিরেছিলেন অশ্বিন। তবে রবিবার ফের দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। বোলিংও করেন। এই প্রসঙ্গে রোহিত বলেন, ‘দলের সেরা বোলারকে যদি ম্যাচের মাঝ পথে না পাওয়া যায়, সেটা অবশ্যই বড় ধাক্কা। কিন্তু পরিবার সবার আগে। তাই সকলেই আমরা অশ্বিনের পাশে ছিলাম।’