মারগাও: নতুন আইএসএল চ্যাম্পিয়ন পেল দেশ। এই আইএসএল জয় নিজামের শহরের দলের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ফাইনালে ম্যাচের প্রথমার্ধে বেশি নিয়ন্ত্রণ ছিল কেরালা ব্লাস্টার্সের, যা মেনে নিয়েছেন হায়দরাবাদ এফসি কোচ ম্যানুয়েল মার্কোজ । তবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় হায়দরাবাদ। এবং পেনাল্টি শুটআউটে লক্ষীকান্ত কাট্টিমণির দুর্দান্ত সেভে ভর করে খেতাব জিতে মাঠ ছাড়তে পেরেছে হায়দরাবাদ এফসি। ম্যাচের শেষে তাই হায়দরাবাদ কোচের মুখে প্রশংসা শোনা গেল কাট্টিমণিকে নিয়ে।
ফাইনালের শেষে ম্যাচের হিরো কাট্টিমণির ব্যাপারে মার্কোজ বলেন, “আমাদের খেলার ধরণ যা, তাতে ওকে বেছে নেওয়াটা সেরা সিদ্ধান্ত। আমি বরাবর বলে এসেছি আমাদের খেলার ধরণের দিক থেকে দেখতে হলে ও কিন্তু অন্যতম সেরা গোলকিপার। ও শুধু গোলের দিক থেকেই সেরা গোলকিপার নয়, ও বক্সের বাইরেও যেভাবে খেলে (আজ যেমনটা খেলল) তার জন্য ও সেরা। আমার মতে এই মরসুমে প্রভসুখান গিল খুব ভালো খেলেছে কিন্তু আমি যেহেতু হায়দরাবাদের কোচ, আমাকে একজনকে বেঁছে নিতে হলে সেটা কাট্টিমণিই হবে।”
জাতীয় দলে কাট্টিমণির ডাক পাওয়া উচিত কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে মার্কোজ বলেন, “যে ব্যাপার নিয়ে আমার কথা বলার নয়, তা সত্ত্বেও আমি বলতে চাই, অন্যান্য কোচ ও ইগর স্টিমাচের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি বলতে পারি না এই প্লেয়ারের জাতীয় দলে যাওয়া উচিত নাকি নয়। তবে গত দুই বছরে কাট্টিমণি যে জায়গায় নিজেকে নিয়ে গিয়েছে তার ব্যপারে বলতে পারি। ভারতের অন্যতম সেরা গোলকিপার ও।”
কোচের মতোই দলের অধিনায়ক জোয়াও ভিক্টর মেনে নেন প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষ দল তাঁদের থেকে ভালো খেলেছিল। ম্যাচের শেষে প্রেস কনফারেন্সে ভিক্টর বলেন, “যেমনটা কোচ বলেছে, কেরালা ম্যাচের প্রথমার্ধে বেশি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল। ওদের কাছেও একটা সুযোগ ছিল এবং আমাদের কাছেও একটা সুযোগ ছিল। তবে এই ম্যাচটা বিশেষ ছিল কারণ এটা ফাইনাল ম্যাচ ছিল। স্টেডিয়াম জুড়ে দর্শকে ভর্তি ছিল। আমাদের দলের তরুণরা কিছুটা চাপ অনুভব করছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আমারা অনেকটা ভালো খেলেছি।”
দলের প্রত্যেকে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে, এমনটাই বলছেন ভিক্টর। তাঁর কথায়, “করোনার কারণে আমরা গত মরসুম ও এই মরসুমে বাবলের মধ্যে থেকে খেলেছি। করোনার জন্য কোয়ারান্টিনে কাটাতে হয়েছে। সেই কারণেই আমরা শিল্ডের জন্য লড়তে পারিনি। আমরা পরিবারের থেকে দীর্ঘদিন দূরে রয়েছি। যেটা সকলের জন্যই কঠিন। যেমনটা আমি বরাবর বলে এসেছি, আমরা একটা পরিবারের মতো। আর সেটাই সব কাজ সহজ করে দেয়। আমার কাছে আমার কেরিয়ারে এটা একটা সেরা দল।”