সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন হেমন্ত সোরেন। বিশেষ অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ) আদালত শুক্রবার জেএমএম নেতাকে পাঁচ দিনের ইডি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। এ দিনই সকালে হেমন্তের করা মামলায় জরুরি হস্তক্ষেপ করার আর্জি নাকচ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মামলাটি ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে ফেরত পাঠানো হয়।
এদিকে পাঁচদিনের জন্য ইডি হেপাজতে পাঠানো হল হেমন্ত সোরেনকে। শুক্রবার তাঁর হেপাজতে থাকার মেয়াদ বাড়াল রাঁচির বিশেষ আদালত। পিএমএলএ আদালত জানায়, আগামী পাঁচ দিন ইডির হেপাজতেই থাকবেন ঝাড়খণ্ডের সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার সন্ধ্যায় হেমন্তকে গ্রেপ্তার করার পর বৃহস্পতিবার সকালে রাঁচির বিশেষ আদালতে তাঁকে হাজির করায় ইডি। হেমন্তকে ১০ দিনের জন্য হেপাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। বৃহস্পতিবার আদালত সে বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি। শুধু জানায়, বৃহস্পতিবার জেল হেপাজতে রাখা হোক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। তার মধ্যে গ্রেপ্তারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শিবু সোরেনের পুত্র।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, হেমন্তকে আগে হাইকোর্টে আবেদন জানাতে হবে। উচ্চ আদালতের এক্তিয়ার লঙ্ঘন করবে না সুপ্রিম কোর্ট। গ্রেপ্তারিকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হেমন্ত। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় মামলাটি শোনার জন্য তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছিলেন। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। এ ছাড়া, ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী।