সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠল হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল আশ্রিত একাংশ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে

সরকারি খাস জমি দখলের অভিযোগ উঠল হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল আশ্রিত একাংশ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনাকে ঘিরে তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠী প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। যদিও বাধা দিতে গিয়ে ওই জমি মাফিয়াদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে দাবি এলাকার তৃণমূল কর্মীদের। এমনকী, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষই। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামে। তৃণমূলের নাম ভাঙিয়ে যারা এই কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সাফাই দিয়েছে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। আর গোটা ঘটনায় শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক চাপানউতোর।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের সক্রিয় তৃণমূল কর্মী রেজাউল ইসলাম রাস্তার পাশে থাকা পঞ্চায়েতের খাস জমি দীর্ঘদিন ধরেই দখলে রেখেছে। ওই জমির পাশে তার নিজস্ব জমি রয়েছে। নিজস্ব জমির পাশাপাশি পঞ্চায়েতের খাস জমি উনি নিজের দখলে রেখেছেন। ওনার এই অবৈধ কাজে মদত দিচ্ছে এলাকারই বেশ কিছু তৃণমূল আশ্রিত জমি মাফিয়ারা। স্থানীয় বাসিন্দারা এই নিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে তাদেরও হুমকির মুখে পরতে হয় বলে অভিযোগ।  এ নিয়ে গ্রামবাসী এবং ওই অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর মধ্যে বচসা বাঁধে। থানা পর্যন্ত বিষয়টি গড়ায়। তারপরও আবার তৃণমূল কর্মী ওই জমি দখল করতে গেলে গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়ে। উল্লেখ্য, হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় এর আগেও জমি মাফিয়াদের দাপটে প্রচুর সরকারি খাস জমি দখল হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই গ্রামের পাশে পঞ্চায়েতের খাস জমি দীর্ঘদিন ধরেই পড়ে রয়েছে। এই জমির দিয়ে জল নিকাশি হয়। গ্রামের সাধারণ মানুষ এই জমি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে। কিন্তু সম্প্রতি এলাকারই এক তৃণমূল কর্মী নিজের রাজনৈতিক পরিচয়ের ফায়দা তুলে এই জমি দখল করতে উঠে পড়ে লেগেছে। তার সঙ্গে মদত দিচ্ছে এলাকারই কিছু তৃণমূল নেতারা। তাই গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। যদিও গ্রামের অধিকাংশ লোকই তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় সমর্থক। মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জয়নব নেশা জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে একটি অভিযোগ জমা হয়েছে।  আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 5 =