রঞ্জিতে ১১০ টার্গেট দিয়ে ৬ রানে জিতল গুজরাট!

সহজ অঙ্কও অনেক সময় এতটাই কঠিন হয় যে, তা মেলানোই যায় না। এমনই সহজ অঙ্কের সামনে ‘সহজ’ আত্মসমর্পণ দেখল রঞ্জি ক্রিকেট। খেলা ছিল গুজরাট আর কর্নাটকের। রঞ্জি ট্রফি তো বটেই, ঘরোয়া ক্রিকেটে কর্নাটক বরাবর ভালো দল। সেই টিমের বিরুদ্ধে গুজরাট লড়াই করবে, তা প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু হারিয়েই দেবে মণীশ পাণ্ডে, মায়াঙ্ক আগরওয়ালদের, কে জানত! জেতার জন্য লক্ষ্য ছিল ১১০ রানের। হাতে ছিল যথেষ্ট ওভার। কিন্তু মোতেরা পিচ যে এমন ‘খেল’ দেখাবে, বোঝাই যায়নি। আগ্রাসী গুজরাটের সামনে ১০৩ রানে শেষ কর্নাটক। এই মরসুম তো বটেই, রঞ্জি ক্রিকেটে এমন দুরন্ত ম্যাচ আর কবে দেখা গিয়েছে, কেউ মনেই করতে পারছেন না। কার হাতে শেষ হয়ে গেলেন মণীশ-মায়াঙ্করা?

প্রথম ইনিংসে ২৬৪ রানে শেষ হয়ে যায় গুজরাট। জবাবে কর্নাটক ৩৭৪ রান করে। প্রথম ইনিংসের পরই মনে হয়েছিল, এই ম্যাচ কর্নাটকের দিকেই ঢলে রয়েছে। শেয়ার মার্কেটের গতি-প্রকৃতি তাও জানা যায়, ক্রিকেটের মন-মর্জি বোঝা দায়! হলও তাই। দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৯ করে গুজরাট। কর্নাটকের সামনে ১১০ রানের লক্ষ্য ছিল। রান তাড়া করতে নেমে ৯.২ ওভারে ৫০-০ ছিল কর্নাটকের স্কোর। সেখান থেকে ২৬.২ ওভারে টিম শেষ হয়ে যায় ১০৩ রানে। অবিশ্বাস্য কাজটা খুব সহজে করলেন ২৪ বছরের বাঁ হাতি স্পিনার সিদ্ধার্থ দেশাই। ৪২ রান দিয়ে একাই নিলেন ৭ উইকেট। বাকি ৩ উইকেট রিঙ্কেশ ভাগেলার।

রঞ্জির প্রথম ম্যাচে টিমে ছিলেন না সিদ্ধার্থ। ফিরলেন এবং গুজরাটকে অবিশ্বাস্য জয় দিলেন। ১১০ তাড়া করতে নেমে ৫০ রানে প্রথম উইকেট পড়ে কর্নাটকের। টিমের ১১তম ওভার বল করতে এসে মোক্ষম ধাক্কা দেন। প্রথম ও শেষ বলে দেবদত্ত পাড়িক্কল ও নিকিন জোসকে ফিরিয়ে দেন। মায়াঙ্ক, মণীশও তাঁরই শিকার। তাঁর ঘূর্ণির সামনে আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি। রঞ্জিতে পর পর দুটো ম্যাচে দুই হেভিওয়েট টিমের বিরুদ্ধে জিতল গুজরাট। অনেক তারকা টিমে নেই। তাতেও জয়ের রাস্তা থেকে সরানো যাচ্ছে না গুজরাটকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − 9 =