হায়দরাবাদ এফসিকে ২-০ ব্যবধানে হারাল সবুজ মেরুন

বছর শেষ হয়েছিল আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিক। কোচ হুয়ান ফেরান্দোকে ছাঁটাই করা হয়। ক্লিফোর্ড মিরান্ডার কোচিংয়ে কলিঙ্গ সুপার কাপে খেলেছিল মোহনবাগান। আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বে হাবাস দায়িত্ব নেন। প্রথম ম্যাচই ছিল ডার্বি। দু-বার পিছিয়ে পড়েও ড্র করে মোহনবাগান। তার আগে অবধি ডার্বিতে একশো শতাংশ জয়ের রেকর্ড ছিল হাবাসের। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে চার ম্যাচ পর জয়ে ফিরল মোহনবাগান। ঘরের মাঠে হায়দরাবাদ এফসিকে ২-০ ব্যবধানে হারাল সবুজ মেরুন। দল জয়ে ফিরলেও হাবাসের মুখে হাসি ফিরল না!

পয়েন্ট টেবলে লাস্ট বয় হায়দরাবাদ এফসি। স্কোয়াডে সকলেই ভারতীয় প্লেয়ার। কলিঙ্গ সুপার কাপেও নজর কেড়েছিল হায়দরাবাদ। অল-ইন্ডিয়ান প্লেয়ার নিয়ে তৈরি হায়দরবাদের বিরুদ্ধে মোহনবাগানের স্কোরলাইন ঠিক কী হতে পারত, এ যেন প্রত্যাশার বাইরে। সে কারণেই কি মুখে হাসি দেখা গেল না হাবাসের? বল পজেশন হোক বা সুযোগ তৈরি। মোহনবাগান অনেক অনেক এগিয়ে। কিন্তু স্কোরলাইন মোহনবাগানের পক্ষে মাত্র ২-০!

হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৩-৫-২ ফর্মেশন নামিয়েছিলেন হাবাস। এর থেকেই পরিষ্কার আক্রমণাত্মক ফুটবলেই নজর ছিল মোহনবাগানের। সেই খেলাই দেখা গেল। কিন্তু স্কোরলাইন ২-০! মোহনবাগান সব মিলিয়ে ১৩টি শট নিয়েছে। এর মধ্যে ১০টি সেভ করেছেন হায়দরাবাদ এফসির তরুণ গোলরক্ষক গুরমীত সিং। মোহনবাগানের দুটি গোলই এসেছে প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধেও একঝাঁক সুযোগ নষ্ট। ফিনিশিংয়ের অভাব যেন বিরক্তিতে রাখল হাবাসকে। যদিও ম্যাচ শেষে জানান, স্কোরলাইন ছোট তবে ক্লিনশিট এবং জয়ে খুশি হাবাস। তাঁর অভিব্যক্তিতে কোনও উচ্ছ্বাস ধরা পড়ল না। জনি কাউকোর ক্যামিও পারফরম্যান্সেও খুশি হাবাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − seven =