নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: জয়পুরের বালিগুমায় ৩৮ বছর বয়সের স্বপন মুর্মুকে রবিবার তাঁর দাদার বাড়ির উঠোন থেকেই অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে জয়পুর থানার পুলিশ। এরপর তাঁকে জয়পুর প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। প্রাথমিক ভাবে রিপোর্টে আঘাতের জেরেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্র মারফত জানতে পারা যায়, বালিগুমা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কৃষক শম্ভু মুর্মু ও স্বপন মুর্মু দুই ভাই। একই গ্রামে কিছুটা দূরত্বে দু’জনের বাড়ি। শম্ভুর বাড়ির কাছে তাঁদের একটি পৈত্রিক চাষের জমি রয়েছে। ওই জমিটি ছোট ভাই স্বপন বিক্রি করতে চাইছিলেন। তাতে অবশ্য তাঁর স্ত্রী আপত্তি করেন। সেজন্য তাঁকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই স্বপনের স্ত্রী তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে ভাসুরের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। সোমবার স্বপনবাবু বাড়িতে খরিদ্দারও ডেকে এনেছিলেন।
শুধু তাই নয়। জমি বিক্রির জন্য আধার কার্ডের প্রয়োজন। স্ত্রী তা লুকিয়ে দিয়েছেন অভিযোগে তাঁর দাদার বাড়িতে আসেন এবং আধার কার্ড চান। তাঁর স্ত্রী ওখানে নেই বলে জানানোয় তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন বলে দাবি। এরপরেই তা¥র দাদা, তাঁর স্ত্রী তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। দীর্ঘ সময় বাড়ির উঠোনেই স্বপনবাবু জখম অবস্থায় পড়েছিলেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামে যায়। স্বপনবাবুকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে জয়পুর ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে আসে।
স্বপনবাবুর মৃত্যুর ঘটনা চাউর হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। সোমবার পুলিশ মৃতের স্ত্রী ও তাঁর দাদাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রাথমিক তদন্তে এবং ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে আঘাতের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। সোমবার পুলিশ নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে। মঙ্গলবার দাদা শম্ভু মুর্মুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং তাঁকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পাঠায়। পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয় আরও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য।