চোপড়ায় চার শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনার পারদ। সন্দেশখালি নিয়ে হইচই করলেও কেন চোপড়ার দিকে নজর নেই কেন্দ্রের, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে শাসক শিবির। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থও হয়েছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তারই মাঝে মঙ্গলবার চোপড়া যাচ্ছেন রাজ্যপাল।
রাজ্যের শাসকদলের তরফে জানানো হয়েছিল, চোপড়ায় যাওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের পাঁচ দিন পর, মঙ্গলবার চোপড়ায় যাচ্ছেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর, সোমবার রাতেই দার্জিলিং মেলে চেপে কিষাণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। মঙ্গলবার সড়কপথে সেখান থেকেই পৌঁছবেন চোপড়ায়।
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার চেতনাগছ গ্রামে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ছোট নিকাশি নালা ছিল। তা সম্প্রসারণের জন্য জেসিবি দিয়ে মাটি তোলা হচ্ছিল। বিএসএফের অধীনে ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ কেন্দ্রের সিপিডব্লিউডি রাস্তার পাশে মাটি তুলছিল। নতুন করে নালা তৈরির কাজ চলছিল। এলাকার সেই কাজ দেখতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই সময় ৬ থেকে ১৪ বছরের বাচ্চারা খেলছিল সেখানে। খেলতে খেলতেই নালায় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় ৪ জনের। এর পরই এই মৃত্যুর জন্য বিএসএফের অসাবধানতাকে দায়ী করে তোপ দাগতে শুরু করে তৃণমূল। যদিও সূত্রের খবর, বিএসএফ দাবি করেছে যে নালা সম্প্রসারণের কাজের দায় তাদের নয়।