বিধানসভা নির্বাচনের সাতদিন পর বিজেপি ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে দুই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেও মরুরাজ্য নিয়ে জট কাটছিল না। শোনা যাচ্ছিল, ‘রাজমাতা’ বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া চাইছেন ফের মসনদে বসতে। কিন্তু তাঁকে আর মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দিতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির। ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং, মধ্যপ্রদেশে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে ‘ছেঁটে’ ফেলার পরে এ বার রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের জমানাতেও ইতি টেনে দিল বিজেপি হাইকমান্ড।
মঙ্গলবার জয়পুরের সর্দার প্যাটেল মার্গে বিজেপির রাজ্য দপ্তরে বিজেপির সদ্যজয়ী বিধায়কদের বৈঠকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা ব্রাহ্মণ নেতা ভজনলাল শর্মার নাম ঘোষণা করলেন তিন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ বারেই প্রথম বিধানসভা ভোটে জিতেছেন তিনি!
এদিন মরুরাজ্যের নবনির্বাচিত বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে দলের তিন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক— প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বিনোদ তাওড়ে এবং রাজ্যসভা সাংসদ সরোজ পাণ্ডের উপস্থিতিতে ভজনলালের নাম ঘোষণার পরে বসুন্ধরা অনুগামীরা বিক্ষোভ করতে পারেন বলেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের অনুমান ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘পছন্দ’ নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। মোদি আসলে ব্যালান্সের খেলা খেলতে চেয়েছেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বাছতে যেমন ওবিসি ভোট ব্যাংকের কথা ভাবা হয়েছিল, ছত্তিশগড়েও মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদে যথাক্রমে আদিবাসী ও উচ্চবর্ণের প্রতিনিধিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এবার রাজস্থানেও একই খেলা খেলল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী পদে ব্রাহ্মণ ভজনলালকে বেছে নেওয়া হল। দলীয় সূত্রের খবর, বসুন্ধরাই পরিষদীয় দলের নেতা হিসাবে ভজনলালের নাম প্রস্তাব করেন।
জয়পুরের সাঙ্গানের বিধানসভা থেকে এ বারেই প্রথম জিতেছেন ৫৬ বছরের ভজনলাল। দলের অন্দরে ‘সংঘ ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিতি রয়েছে তাঁর।