ছাত্র সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল গোঘাটের কামারপুকুর কলেজ, আহত ৬

ছাত্র সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল গোঘাটের কামারপুকুর কলেজ চত্বর। অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই মারামারি। উভয়ের মধ্যে মারামারির জেরে উভয় পক্ষেরই আহত হয়েছেন তিন জন। আহতদের মধ্যে একজন বহিরাগত আছে বলেও দাবি কলেজের বর্তমান ছাত্র নেতাদের। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা কলেজ থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়। সেই সময়েই উভয় পক্ষের মধ্যে মারপিট চলে। উভয় পক্ষই পরস্পর পরস্পরের দিকে ইট পাটকেল, লাঠি ছুঁড়তে থাকে। লাঠি দিয়ে পেটাতেও থাকে তারা। কলেজ জুড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় ইট পাথর ও বাঁশের লাঠি।

কলেজের ছাত্র সংসদের বর্তমান ইউনিট প্রেসিডেন্ট সামির মল্লিক ও জেনারেল সেক্রেটারি শান্তনু দোলুইয়ের দাবি, বহিরাগত দুষ্কৃতীরা কলেজের পড়ুয়াদের উপর হামলা চালিয়েছে। তারা কেউই কলেজের নয়। ওরা বাঁকুড়ার জয়রামবাটি, সিহড়, বৈতল থেকে এসে আমাদের ওপর চড়াও হয়। সেই সময়ে আমরা ভোট প্রসঙ্গে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করার পর একটি সেমিনার করছিলাম। সেই সময়ে বহিরাগত কিছু দুষ্কৃতী এসে অতর্কিতে হামলা চালায়। আর তাতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। ওদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য ছাত্ররা রুখে দাঁড়ায়। তাতেই আহত হয়েছে দু’-তিনজন। আবার অপরপক্ষের শিব শংকর পালুইয়ের পাল্টা দাবি, কলেজে পাড়ায় সমাধান চলছিল। সাধারণ মানুষ সেই ক্যাম্পে যেতেই কলেজের ছাত্ররা তাদের ওপর চড়াও হয়। তাহলে কোনও ক্যাম্প স্কুলে বা কলেজে করলে তো আর কেউই যেতে পারবে না। এটাও তো দলীয় নির্দেশ মতোই করা হয়েছে। ওরা আক্রমণ করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কলেজে ছুটে যায় গোঘাট থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হলেও বহিরাগত একজনের আঘাত গুরুতর। তাঁকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আক্রান্তের নাম হুমায়ুন মণ্ডল। গোঘাট থানার পুলিশ জানিয়েছে, একটা গন্ডগোল হয়েছিল। সমাধান হয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − four =