আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিসিসিআইয়ের নতুন নির্দেশনামা চালু হয়ে যাবে। ট্রাভেল থেকে শুরু করে নেট সেশন, বিদেশ সফরে ব্যাগপত্তর নিয়ে যাওয়া, প্লেয়ারদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিদেশ সফরে যাওয়ায় নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। সেখানেই শেষ নয়। বোর্ডের এক কর্তা এ বার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ভালো নয়। যার ফলে হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের উপরও পড়তে চলেছে কোপ। কিন্তু কীভাবে?
বোর্ডের নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোনও ক্রিকেটার তাঁর ব্যক্তিগত সহকারীকে নিয়ে কোনও সফরে যেতে পারবেন না। একই নিয়ম প্রযোজ্য ভারতের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর এবং অন্য সাপোর্ট স্টাফদের জন্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের এক কর্তা বলেন, ‘কোচিং স্টাফের এক সদস্যের ব্যক্তিগত সহায়ককে নিয়মিত টিম হোটেলে থাকতে দেখা গিয়েছে। এ বার থেকে তিনি অন্য জায়গায় থাকবেন। যদিও তাঁকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোম সিরিজে প্রতিটি জায়গায় দেখা গিয়েছে।’
পিটিআইয়ের ওই রিপোর্টে কোথাও সরাসরি গৌতমের ব্যক্তিগত সহকারীর নাম উল্লেখ করা নেই। কিন্তু ভারতীয় টিমের যে কোনও সিরিজের সময় গৌতমের পার্সোনাল অ্যাসিসট্যান্টকে সব সময় টিমের সঙ্গে দেখা গিয়েছে। দল সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনার সময়ও গৌতমের আপ্তসহায়ক উপস্থিত থেকেছেন। বোর্ডের ওই কর্তা বেশ বিরক্ত হয়েই বলেন, তজাতীয় নির্বাচকদের জন্য যে গাড়ি বরাদ্দ ছিল, সেখানে কেন ওর পার্সোনাল অ্যাসিসট্যান্স বসেছিল? যখন একজন অজানা তৃতীয় ব্যক্তি গাড়িতে বসে রয়েছেন, সেই সময় তাঁরা ব্যক্তিগত বিষয়ে আলোচনাও করতে পারেনি। অ্যাডিলেডে কেন ও বিসিসিআইয়ের হসপিটালিটি বক্সে থাকার জায়গা পেয়েছিল? যেখানে টিম ইন্ডিয়ার সদস্যদের ছাড়া উপস্থিত থাকার অনুমতি নেই, সেখানে কী করে ওই ব্যক্তি (যাঁকে গৌতম গম্ভীরের সহকারী বলা হচ্ছে) ব্রেকফাস্ট করতে পারেন?দ
বোর্ডের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও সফরে ভারতীয় ক্রিকেটাররা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের পুরো সময় রাখতে পারবেন না। পাশাপাশি টিমের কোনও সদস্য নিজের ব্যক্তিগত সহায়ককে কোনও সফরে নিয়ে যেতে পারবেন না। যদি কেউ যানও সেক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিকে নিজের খরচ বহন করতে হবে। ফলে এ বার গৌতমের সহকারী যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য দুবাইতে যানও, তা হলে ভারতের হেড কোচকে বা তাঁর পার্সোনাল অ্যাসিসট্যান্টকেই পুরো খরচ বইতে হবে।