মালদা: একজন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। অপরজন দক্ষিণ মালদার লোকসভা কেন্দ্রে এবারের কংগ্রেস প্রার্থী। সম্পর্কে এরা দু’জন ভাইবোন। রাজনৈতিক স্তরের পরিভাষা পৃথক থাকলেও বৃহস্পতিবার কোতুয়ালির বাসভবনে ভাইবোনদের সম্পর্ক অটুট রাখার বার্তা নিয়েই ইদ উৎসব পালন করলেন গনিখান চৌধুরির পরিবারের সদস্যরা। এদিন সকালেই প্রয়াত প্রাক্তন রেলমন্ত্রী গনিখান চৌধুরীর কোতুয়ালির বাসভবনেই নামাজ পাঠের মাধ্যমেই ইদের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মৌসুম নুর, তার মামা তথা বর্তমান কংগ্রেস সাংসদ আবু হোসেন চৌধুরি (ডালু)। পাশাপাশি ছিলেন এবারে দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ইশাখান চৌধুরি, তার স্ত্রী লিজুখান চৌধুরি সহ গনিখান চৌধুরির পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এদিন প্রায় শতাধিক মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা গনিখানের কোতুয়ালির বাসভবনে জমায়েত হয়ে নামাজ পাঠ করেন। এরপরে একে অপরকে আলিঙ্গন করেই ইদের শুভেচ্ছা জানান।
বলাবাহুল্য, বছরের অধিকাংশ সময় যেখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে একে অপরকে দোষারোপের কাঠগড়ায় দাঁড় করতে তৎপর হয়ে থাকেন। কিন্তু সেই দিক দিয়ে এদিনের কোতুয়ালির বাসভবনে দৃশ্যটা ছিল অন্যরকম। গনিখান চৌধুরির পরিবারের সকল সদস্যরাই যে যেখানেই থাকুক না কেন, এই একটা দিন বাড়িতেই একসঙ্গে ইদের আনন্দে সামিল হন তাঁরা। রাজনৈতিকার বাইরে বেরিয়েই চলে নানান গল্প, আড্ডা এবং আহার। যেখানে গনিখান চৌধুরির পরিবারের আট থেকে আশি সকলেই হাজির হন এবং সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতেই এই ইদ উৎসব পালন করে থাকেন।
উল্লেখ্য, গনিখান চৌধুরির বোন রুবিনুরের মেয়ে মৌসুম নুর। তিনি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ রয়েছেন। সম্পর্কে গনিখানের ভাগ্নি। এছাড়াও এদিনের এই ইদ উৎসবের সামিল হয়েছিলেন দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি (ডালু)। এবারের লোকসভা নির্বাচনে ডালুবাবুর একমাত্র ছেলে ইশাখান চৌধুরী দক্ষিণ মালদা লোকসংখ্যা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী পদে নির্বাচন লড়ছেন। এছাড়াও মৌসুম নুরের আরেক বোনও এদিন গনিখান চৌধুরির বাসভবনে থেকেই ইদ উৎসব পালন করেছেন।
এদিন ইদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তৃণমূলে রাজ্যসভার সাংসদ তথা গনিখানের ভাগ্নি মৌসুম নুর বলেন, বছরের অন্তত একটা দিন পরিবারের সকল সদস্যের সঙ্গে ইদ পালন করা হয়।
অন্যদিকে দক্ষিণ মালদার কংগ্রেস প্রার্থীগনিখান চৌধুরীর ভাইপো ইশাখান চৌধুরি বলেন, এদিনের ইদ উৎসবে পরিবারের সকলেই সামিল হয়েছেন। একসঙ্গে সবাই নামাজ পাঠ করেছি। একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। তারপর মোবাইলের সেলফি তোলা থেকে শুরু করে সারাদিন নানান গল্প এবং বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের মাধ্যমে ইদ কাটিয়েছি।