কলকাতা: বেতন নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের টানাপোড়েন। হাই কোর্টে মামলা চলার পরও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে একাধিক পড়ুয়ার ভবিষ্যত্ নিয়ে। বেতন বিতর্কের মামলায় কোর্ট স্পষ্টতই বলেছে, ফি বাকি থাকার জন্য কোনও পডুয়ার পড়াশোনা আটকাবে না। নতুন ক্লাসে তাকে নিতে হবে। সেই নির্দেশ দেওয়ার পরই আচমকা স্কুল বন্ধ করে দিয়েছিল জিডি বিড়লা-সহ কলকাতার অন্যতম নামী ও দামী কয়েকটি স্কুল। সোমবার স্কুল খোলার ঘোষণা হলেও, তাতে রয়ে গেলে শর্ত। স্পষ্ট করে দেওয়া হল সম্পূর্ণ ফি না মেটালে ক্লাস করতে পারবে না পড়ুয়ারা। শনিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমনই জানিয়েছে জিডি বিড়লা স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের এই নোটিসের জেরে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।
আইনশৃঙ্খলার অজুহাতে ৭ এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে জি ডি বিড়লা-সহ একাধিক স্কুল। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, স্কুলের বাইরে অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাই আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যার জেরে মাথায় হাত পড়েছিল পড়ুয়া থেকে অভিভাবক, সকলের। সোমবার অর্থাৎ ১১ এপ্রিল থেকে শর্তসাপেক্ষে খুলছে জি ডি বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশন, অশোক হল, মহাদেবী বিড়লা শিক্ষা বিহার। কিন্তু ক্লাস করতে পারবে না সব পড়ুয়ারা।
নোটিস অনুযায়ী, যে সমস্ত পড়ুয়া ১০০ শতাংশ ফি মিটিয়েছে তারাই শুধুমাত্র ক্লাস করার অনুমতি পাবে। অর্থাৎ যারা ৮০ শতাংশ ফি মিটিয়েছে, তারাও ক্লাস করতে পারবে না। নোটিস দেখে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বলছে, কলকাতা হাই কোর্ট বলেছিল ফি বকেয়া থাকলেও ক্লাস করতে পারবে পড়ুয়ারা। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই সিদ্ধান্ত মানল না।
প্রসঙ্গত, নতুন ক্লাস শুরু হওয়ার প্রথম দিনেই কিছু পড়ুয়ার ফি বকেয়া থাকায় তাদের ঢুকতে দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। তার জেরে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। স্কুল চত্বরে চলে অভিভাবকদের বিক্ষোভ। ৬ এপ্রিল এ সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, বেসরকারি স্কুলে ফি বকেয়া থাকলেও পড়ুয়াদের ক্লাস করা আটকানো যাবে না। নতুন ক্লাসে ওঠার ক্ষেত্রেও ফি কোনও বাধা হবে না। তারপরেই অভিভাবক বিক্ষোভ-বিশৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে একাধিক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়।