ইদানীং বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র ক্রিপ্টো কারেন্সি।তবে সেই বিনিয়োগ করতে গিয়ে ভুয়ো লোকের পাল্লায় পড়ে প্রায় ৮ লাখ টাকা খোয়ালেন তরুণী। লালবাজারে অভিযোগ করেছেন তিনি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তরুণী ত্রিপুরার বাসিন্দা। কলকাতাতেও তাঁর বাড়ি রয়েছে। দু’জায়গাতেই তিনি থাকেন বছরের বিভিন্ন সময়। ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে তরুণীর প্রথম থেকেই আগ্রহ ছিল। খোঁজখবর নিয়ে তিনি জানার চেষ্টা করতেন, কীভাবে এখানে বিনিয়োগ করা হয়। অনলাইনে তিনি এ নিয়ে সার্চও করতে থাকেন। কিছুদিন পরে তাঁর কাছে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। সেখানে লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে ক্রিপটোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করতে বলা হয়।
হোয়াটসঅ্যাপে আসা সেই লিঙ্ক ভুয়ো কিনা তা যাচাই না করেই ওই তরুণী বিনিয়োগ করতে শুরু করেন। তাঁকে নানাভাবে প্রলোভন দেখাতে থাকে প্রতারকরা। প্রায় ১১ মাস ধরে টাকা বিনিয়োগ করে তরুণী বোঝেন আসলে সবটাই জালিয়াতি। তাঁর ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি করে দিয়েছে প্রতারকরা। প্রায় ৮ লাখ টাকা বেরিয়ে গেছে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে।লালবাজারে অভিযোগ করেছেন তরুণী।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং নামে একটি গ্রুপে অ্যাড করা হয়েছিল তরুণীকে। গ্রুপে থাকা অন্যরা জানাত, ক্রিপ্টোতে টাকা বিনিয়োগ করার পর কত রোজগার করেছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের টিপস দিয়ে বলা হতো, কী পরিমাণ বিনিয়োগ করলে ভাল রিটার্ন পাওয়া যাবে। তরুণী সেই মতোই বিনিয়োগ করেছিলেন। আর জালিয়াতরাও তাঁর টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছে।
যে নম্বর থেকে জালিয়াতরা কথা বলত, তার সিমগুলি অন্যের নামে নেওয়া বলে অনুমান পুলিশের। নম্বরটি যাতে বোঝা না যায়, তার জন্য প্রযুক্তিও ব্যবহার করেছিল তারা। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের সন্দেহ, গ্যাংটি ভিন রাজ্যের। তাদের খোঁজ চলছে।