নিজস্ব প্রতিবেদন, আসানসোল: বারাবনি থানার চিনচুরিয়া গ্রামে নবম শ্রেণির ছাত্রী ১৫ বছরের এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ধর্ষিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে বারাবনি থানার পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ও পকসো আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতরা প্রত্যেকেই বীরভূম জেলার বাসিন্দা। নির্যাতিতা নাবালিকাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্যাতিতা নাবালিকার বাবার অভিযোগ, রাতে শৌচকর্ম করতে বাড়ি থেকে বেরয় ওই নাবালিকা। সেখান থেকে সাতজন দুÜৃñতী তুলে নিয়ে যায় তার মেয়েকে। দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা তাকে খুঁজতে বেরিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে বিধ্বস্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই নাবালিকাকে। নাবালিকার কাছে ঘটনার বিবরণ জানার পর পরিবারের লোকজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা ওই গ্রামে কালীপুজো উপলক্ষে বসা মেলা প্রাঙ্গণ থেকে পাঁচজনকে ঘিরে ধরতে সক্ষম হলেও আরও দু’জন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বারাবনি থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে ওই পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, বারাবনি বিধানসভার নুনী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চনিচুরিয়া গ্রামে রক্ষাকালী পুজো উপলক্ষে সাতদিনব্যাপী মেলা বসেছিল। বৃহস্পতিবার ছিল মেলার শেষ দিন। ধর্ষণের অভিযেগে গ্রেপ্তার হওয়া প্রত্যেকে ওই মেলায় পসরা নিয়ে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি হিরাপুর ঈপ্সিতা দত্ত জানান, অভিযোগ পাওয়ার পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। ওই নির্যাতিতার সঙ্গে ঠিক কী হয়েছে, তা মেডিক্যাল রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে।