শ্রীঘরে বসে মাছ-ভাত!
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, এবার থেকে বন্দিদের মেনুতে থাকবে মাছ-ভাত।
লালবাজারের সেট্রাল লকআপে বছর দশেক আগেও বন্দিদের জন্য ভাতের সঙ্গে মাছ দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু তারপর হঠাৎই সেই রেওয়াজ বন্ধ হয়ে যায়। কারণ কী? পুলিশ কর্তাদের কথায়, বন্দিদের মাছ দিলে তারা কাঁটা জমিয়ে রাখত। পরে সেটাই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করত। দিনে দিনে এই প্রবণতা বাড়তে থাকায় বন্দিদের মাছ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মাছের পরিবর্তে ডিম দেওয়া হত। এছাড়াও, বন্দিদের খাবারের জন্য বরাদ্দ টাকা দিয়ে রোজ মাছ-ভাত কুলিয়ে উঠত না।
তবে এবার থেকে ফের পুরনো ব্যবস্থাপনায় ফিরছে লালবাজার। সূত্রের খবর, লকআপে বন্দিদের খাবার জন্য বরাদ্দ অর্থ অনেকটাই বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। আগে, বিভিন্ন থানা, এসটিএফ ও লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপে থাকা এক একজন বন্দিদের জন্য ৪৫ টাকা বরাদ্দ ছিল। এখন সেটা বাড়িয়ে ৭৩ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। কী কী থাকছে একজন বন্দির মেনুতে?
লালবাজার সূত্রে খবর, ভাত, রুটি, ডাল, সবজি, মাছের ঝোল। যারা মাছ খাবে না তাদের জন্য মরশুমি ফলের ব্যবস্থা থাকবে। একজন বন্দিকে ঠিক কতটা মাপের মাছ দেওয়া হবে তাও ঠিক করে দিয়েছে লালবাজার। জানা যাচ্ছে, একদিন অন্তর মোট ২৯ গ্রাম মাছ দেওয়া হবে বন্দিদের। সেই মাছ রুই, কাতলা বা মৃগেল হতে হবে। রাতেও একই মেনু থাকছে বন্দিদের জন্য। সকালে বন্দিদের চা ও রুটি দেওয়া হবে। যারা চা খায় না তাদের জন্য দইয়ের ব্যবস্থা করা হবে। লালবাজার সূত্রে খবর, ভাত, রুটি, ডাল, সবজি, মাছের ঝোল। যারা মাছ খাবে না তাদের জন্য মরশুমি ফলের ব্যবস্থা থাকবে। একজন বন্দিকে ঠিক কতটা মাপের মাছ দেওয়া হবে তাও ঠিক করে দিয়েছে লালবাজার। জানা যাচ্ছে, একদিন অন্তর মোট ২৯ গ্রাম মাছ দেওয়া হবে বন্দিদের। সেই মাছ রুই, কাতলা বা মৃগেল হতে হবে। রাতেও একই মেনু থাকছে বন্দিদের জন্য। সকালে বন্দিদের চা ও রুটি দেওয়া হবে। যারা চা খায় না তাদের জন্য দইয়ের ব্যবস্থা করা হবে। লালবাজারের এক কর্তার কথায়, এইসব মাছের সাইজ খুব একটা বড় হয় না। তাই তার কাঁটার সাইজও ছোট হয়। ফলে তা জমিয়ে রেখে অস্ত্র বানাতে পারবে না বন্দিরা।