কলকাতা: কিছু মাস আগে পেঁয়াজ কিনতে চোখে জল এসেছিল। এবার রসুন কিনতে হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের। আচমকা রসুনের দাম কেজি পিছু ৫০০ টাকা ছাড়াল! শীতের মরসুমে এবার অল্পবিস্তর সব আনাজেরই দাম ছিল চড়া। অগ্নিমূল্যের সেই বাজারে এবার নতুন সংযোজন রসুন। সেই দামেও যে বেশ ভালো জাতের মোটা দানার রসুন মিলছে, তা-ও কিন্তু নয়। ইদানীং রসুনের কোয়া ছাড়ালেই দেখা যাচ্ছে ভেতরটা ফাঁপা।
জানা যাচ্ছে, পেঁয়াজের দাম বাড়লে রাজনৈতিক ভাবে তার জন্য বাদ-প্রতিবাদ হয়, কিন্তু রসুন নিয়ে কোনও প্রতিবাদ নেই! পেঁয়াজের দাম বাড়লে সরকারেরও টনক নড়ে। কিন্তু রসুনে এসব কিছুই হয় না! রসুনের এই আকাশছোঁয়া দাম আমিষভোজী, ভোজনরসিকদের হতাশ করে তুলেছে। কেননা, যে কোনও আমিষ রান্নার অপরিবহার্য অংশ, তা পরিমাণে যত কমই লাগুক, হল এই রসুন।
কৃষিবিশেষজ্ঞদের কথায়, সামগ্রিক ভাবে আবহাওয়ার ছন্দপতনই এর পিছনে বড় কারণ। তা ছাড়া এবারের বিক্ষিপ্ত বর্ষা এবং মরশুমের শেষের দিকে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় রসুনচাষে বড় রকম ব্যাঘাতও ঘটেছে। তারই প্রভাব পড়েছে রসুনের দামেও।
পশ্চিমবঙ্গে রসুন চাষ খুবই অল্প হয়। ফলে এজন্য অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা সব সময়ই রসুনের দাম বেশির দিকে রাখে। দেশে সবচেয়ে বেশি রসুন চাষ হয় তিনটি রাজ্যে মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রে। অন্য কয়েকটি রাজ্যেও রসুনচাষ হয়। কৃষিবিশেষজ্ঞেরা বলছেন, বছরে দু’বার রসুন ওঠে খারিফ এবং রবি মরশুমে। এর মধ্যে খারিফ বা বর্ষাকালীন রসুন চাষ হয় মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাতে, পাশাপাশি ছত্তিসগঢ়, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, রাজস্থানেও। আর শীতকালীন অর্থাৎ, রবি-রসুন ফলে পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখাণ্ড, পাশাপাশি বিহার, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গেও।